পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে রেণুর পদত্যাগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেণু। গত ৯ই সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট মো. সোহ্‌রাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয় সোমবার সন্ধ্যায়। কমিটিতে মো. রফিকুল ইসলাম রেণুকে ১নং সদস্য রাখা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওইদিন রাতেই ফেসবুকে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় রফিকুল ইসলাম রেণু গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেও যত ষড়যন্ত্রই হোক দলের জন্য আমৃত্যু নিবেদিত থাকবেন জানিয়ে রেণু বলেন, ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে যাবো।পদত্যাগ পত্রে ইসলাম রেণু উল্লেখ করেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়ের দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি কোভিড-১৯ এর কারণে একে একে তিনবার বর্ধিত সভার তারিখ পরিবর্তন করেন। হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগ মির্জা আজম এমপিকে ছাড়া গত ২২শে জুলাই কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করে। পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতৃবৃন্দ ও পাকুন্দিয়ার যারা জেলা কমিটির সদস্য রয়েছেন তাদের সঙ্গে কোনো রূপ আলোচনা না করে সভায় সুপরিকল্পিতভাবে এডভোকেট সোহ্‌রাব উদ্দিন সাহেবের নাম পাকুন্দিয়া উপজেলা আহ্বায়ক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে মো. রফিকুল ইসলাম রেণু তীব্র প্রতিবাদ করেন।প্রতিবাদের কারণ ব্যাখ্যা করে রেণু পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, এডভোকেট সোহ্‌রাব উদ্দিন এমপি থাকাকালে আওয়ামী লীগের জনসভাকে পুলিশ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী দ্বারা মঞ্চে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং ১৪৪ ধারা জারি করে শত শত নেতাকর্মীর নামে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশক্রমে পাকুন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রফিকুল ইসলাম রেণু বর্ধিত সভা আহ্বান করেন। আওয়ামী লীগের সেই বর্ধিত সভাও এডভোকেট সোহ্‌রাব উদ্দিনের নির্দেশে পুলিশ ও গুণ্ডাবাহিনী বানচাল করে দেয়। পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কথা চিন্তা করে এডভোকেট সোহ্‌রাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করা এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটির কোনো পদে মো. রফিকুল ইসলাম রেণু থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৯শে জুলাই জেলা আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়ে এই কমিটিতে না থাকার কথা লিখিতভাবে জানান তিনি। এরপরও নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে মো. রফিকুল ইসলাম রেণুকে সদস্য রাখা হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us