আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঁচাত্তরে পা রাখছেন, চুয়াত্তর ছাড়িয়ে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, শোক-দুঃখ, ব্যথা-বেদনার পাশাপাশি দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার ভেতর দিয়ে চুয়াত্তর বছর পেরিয়ে তিনি পা রাখলেন পঁচাত্তর বছরে। জন্মেছিলেন এই বাংলায় রাজনৈতিক পরিবারে। পিতার আরাধ্য অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে জাতিকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে ৪১ বছর ধরে নিরলস তিনি শ্রমে, কর্মে, সৃজনে, উত্তরণে। তিনি, শেখ হাসিনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
তৃতীয় দফা রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনায় দক্ষতা-কুশলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন গোটা জাতিকে। তাই নানা ইস্যুতে জাতিও ঐক্যবদ্ধ তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে। পিতার মতোই গভীর দেশপ্রেম ও দুর্জয় সাহস, প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং সব প্রতিক‚লতার সঙ্গে লড়াই করে এগিয়েছেন ক্রমশ সামনে। লক্ষ্য স্থির তাঁর। বাংলার মানুষের সঙ্গে অধিকার আদায়ের জন্য টানা ৩০ বছর পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘপথ। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা নিয়ে নয়, রাজনীতি করেন জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে। দুঃখী মানুষের মুখে তিনিও চান হাসি ফোটাতে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
তিনি, শেখ হাসিনা, যাঁর একচল্লিশ বছরের (সক্রিয়ভাবে) রাজনীতিক জীবনজুড়ে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধময় ঝড়ো হাওয়ার মোকাবিলা, ঘাতকের হত্যা প্রচেষ্টা, চক্রান্ত, নির্যাতন, জেল-জুলুম সয়ে যেতে হয়েছে। পুরো জীবনই তাঁর নিবেদিত বাঙালি ও এই বাংলার মানুষের জন্য। আর এজন্য তাঁকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে বহুবার। পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার পর ঘাতকচক্র তাঁকেও বিনাশে কতশত অপচেষ্টা ও চক্রান্তই না চালিয়ে যাচ্ছে আজও। কিন্তু তিনি রয়েছেন এই বাংলার মানুষের অন্তরজুড়ে। বয়সি মানুষের কাছে তিনি তো আজও ‘শেখের বেটি’।