পটুয়াখালীর দশমিনায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক ও একটি কালভার্টের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খেজুর গাছের বাঁধ থেকে মোতালেব মৃধা বাড়ির কালভার্ট পর্যন্ত কাজের ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি টাকা। ওই সড়কের ৪৩ নম্বর চান্দ্রার বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নির্মিত কালভার্ট নির্মাণের আগেই গাইড ওয়ালের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে। গতকাল ভেঙে পড়া কালভার্টের বিভিন্ন অংশে জোড়া তালি দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণ কাজ পায় পটুয়াখালীর সোহাগ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এক বছর আগে ওই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও সড়কে ইটের খোয়া ও কালভার্টের গাইড ওয়াল নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয় দীর্ঘদিন। দু’দিন আগে শ্রমিকরা পুনরায় সড়ক ও কালভার্টের কাজ শুরু করলে কালভার্টের কাঠের সাটার খুলে ফেলার সময় বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে থাকে, পরে শ্রমিকরা তড়িঘড়ি করে কালভার্টের ভাঙা অংশে পুনরায় সিমেন্ট বালুর ঢালাই দিয়ে জোড়াতালি দেয়ার চেষ্টা চালান। স্থানীয় ইউপি সদস্য জলিল শরীফ বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। তবে শুনেছি কালভার্টের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডি’র উপ- প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সরজমিন গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে কালভার্ট ভেঙে পুনরায় নির্মান করা হবে। সোহাগ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন বলেন, কেন কালভার্টের অংশ ভেঙে পড়েছে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না। তবে ভাঙা অংশ ভালো করে ঠিক করে দেয়া হয়েছে। সোহাগ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সোহরাব হোসেন বলেন, কালভার্ট ভেঙে পড়েনি গাইড ওয়ালের ঢালাই করা বিভিন্ন বর্ধিত অংশ কেটে ছেঁটে আবার ঠিক করে দেয়া হয়েছে। তিনি নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান।