কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইস্যুতে এবার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিসেবে কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি পাকুন্দিয়ার আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে এই আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে সাধারণ নেতাকর্মীদের পছন্দের কাউকে আহ্বায়ক করার দাবি জানিয়েছেন। জেলা পরিষদ সদস্য হাদিউল ইসলাম হাদির সঞ্চালনায় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম আকন্দসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে মো. রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, এই ষড়যন্ত্র মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হবে।প্রসঙ্গত, গত ২২শে জুলাই অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার জন্য নতুন আহ্বায়ক এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু সভাস্থল ত্যাগ করেছিলেন। এছাড়া সোহ্রাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ সমর্থকরা। সোহ্রাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক পদ থেকে বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী কাউকে আহ্বায়ক করার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনসহ টানা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।