নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঠাণ্ডা-জ্বরসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বাড়িতে সেবা নেয়ায় বাজার থেকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গত দুই মাসে উপজেলায় করোনা উপসর্গে ও আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন। উপজেলার এমন কোনো বাড়ি নেই যেই পরিবারের কোনো সদস্য জ্বর, ঠাণ্ডা, খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত নয়। একমাত্র পিসিআর টেস্ট ল্যাব বন্ধ থাকায় ইচ্ছা থাকলেও টেস্ট করাতে পারছেন না অনেকে। সংক্রমণের ভয়ে বাড়িতেই ঘরোয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই না থাকায় উপজেলার বাজার থেকে অনেকটা উধাও এসব ওষুধ। উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ জানান, বাড়ির সবার ঠাণ্ডা লেগেছে। সাথে জ্বরও আছে। তাই প্যারাসিটামল কিনতে এসেছিলাম। কোনো ফার্মেসিতে পাইনি। লোকনাথ ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা আব্দুর রহমান নামে একজন জানান, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্যোগময় সময়ে যদি ওষুধ পাওয়া না যায় তাহলে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই না।নূপুর মেডিকেল হল ফার্মেসির মালিক জাহিদ হোসেন জানান, বিভিন্ন কোম্পানির প্যারাসিটামল আছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ছাড়া অন্যগুলো মানুষ খাচ্ছে না। এ কারণেই ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহ-সভাপতি ও দেওয়ান ফার্মেসির মালিক ডাক্তার কামাল দেওয়ান জানান, রূপগঞ্জে লাইসেন্সধারী ২ শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। এছাড়া লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি আছে আরও চার শতাধিক। খোঁজ নিলে দেখা যাবে কমবেশি সব দোকানেই এই ওষুধের সংকট চলছে। কোম্পানি না দিলে আমরা বিক্রি করবো কীভাবে। কোম্পানির লোকের কাছে চাইলে বলে সাপ্লাই নেই। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরজাহান আরা জানান, সরকারি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সরবরাহ রয়েছে। কোনো সংকট নেই। তবে করোনার অন্যান্য উপসর্গ থাকলে অবশ্যই তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন।