সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান আসামি স্বামী আবু তাহের জান্নাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে জেলার দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের জান্নাত দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন। এর আগে গত শনিবার হাত-পা বেঁধে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় স্বামী দেবর ও শ্বশুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মাইফুল নেছা। প্রসঙ্গত, তাহিরপুর উপজেলার বাদলারপাড় গ্রামের কারী নিজাম উদ্দিনের ছোট মেয়ে মাইফুল নেছা (২০)-এর সঙ্গে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে আবু তাহের জান্নাতের ৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আবু তাহের যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী তার পিতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়। কিন্তু মাস খানেক ধরে স্ত্রীর কাছে আবার মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা চেয়ে চাপ দেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী আবু তাহের। নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী মাইফুল নেছা একমাস পূর্বে বাবার বাড়ি চলে আসেন। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ৩০শে জুলাই রাত ৮টার দিকে স্বামী, ২ দেবর ও শ্বশুর মিলে গৃহবধূ মাইফুল নেছাকে হাত-পা বেঁধে নদীতে নিক্ষেপ করার সময় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় তারা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে থানায় গৃহবধূ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান আসামি স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, নির্যাতিত গৃহবধূর মামলায় ৫ জনের মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।