গত ২৬শে জুলাই প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ১১৭ তম সভায় মাদারীপুর জেলার ডাসার থানাকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। আর এই নবগঠিত ডাসার উপজেলাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের হিড়িক পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৬শে জুলাই ডাসার থানা থেকে ডাসার উপজেলা ঘোষণার দিনই ‘ডাসার প্রেস ক্লাব’ নামে একটি কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। এতে সভাপতি সৈয়দ রকিবুল ইসলাম এবং মো. শাহরিয়ার তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দিন ২৭শে জুলাই মো. মিজানুর রহমান সভাপতি ও মো. জাফরুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘ডাসার উপজেলা প্রেস ক্লাব’ ১৯ সদস্যের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়।এ ছাড়াও ৩১শে জুলাই নবগঠিত ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদারীপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন, মাদারীপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান ইলিয়াস শরীফ। অনুষ্ঠান শেষে ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহ্বায়ক সাহাবউদ্দিন (মিঠু) ও ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মুকুল শরীফকে। ৩১শে জুলাই বিকালে শাহদাদ হোসেনকে আহ্বায়ক ও মশিউর রহমান তালুকদার বিপুকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্য করে ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কৃষক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরহাদ মাতুব্বর ও সদস্য আব্দুস সালাম মোল্লা। খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, নতুন উপজেলা ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন সংগঠনের নামে- বেনামে আরও ২ ডজনের মতো কমিটি ঘোষণা অপেক্ষায় রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। সেখানে অন্য কেউ কোনো কমিটি ঘোষণা দিলে সেটা তার ব্যক্তিগত কমিটি, তার সঙ্গে জেলা কৃষক লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া শুনেছি ঐ কমিটিতে জেলা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও এক সদস্য স্বাক্ষর করেছে। সেরকম কিছু হলে আমরা তাদের শোকজ করবো, যথাযথ জবাব না দিতে পারলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।