মির্জাগঞ্জে উপহারের ঘরে ফাটল

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

মির্জাগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে ফাটল ধরেছে। নির্মাণের ৬ মাস যেতে না যেতেই উপজেলার কপালভেরা আবাসনে নির্মিত ৪টি ঘরের দুটির মেঝে, ওয়াল ও পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে উপকারভোগীদের মাঝে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বর্ষা মৌসুম শেষে ধসে যাওয়া ঘরগুলো মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপকারভোগীরা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) ‘ক’ তালিকার গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। প্রতিটি ঘর তৈরিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত এসব ঘর গত ২৩শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সেমিপাকা দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে একটি রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। কিন্তু ৬ মাস না যেতেই ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘর তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন। কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। উপকারভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর দেয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু ঘরে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন ঠিকাদাররা। ঘরের মেঝে ও পিলার ফেটে গেছে। এসব ঘর বেশিদিন টিকবে না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. হারুন অর রশিদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু আমার ঘরটা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ঘরের সামনের পিলার ফেটে গেছে। কখন ভেঙে পড়ে, চিন্তায় আছি। খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা মো. ফজুল মিয়া বলেন, ঘরের মেঝেতে ফাটল ধরেছে। পিলার ফেটে গেছে, কোনোটির মেঝে ফেটেছে আবার কোনোটির দেয়ালে ফাটল ধরেছে। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা ঘটবে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার অতিবর্ষণের কারণে প্রকল্পের ঘরগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরপরও আশ্রয়ণ প্রকল্পটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ওইসব ঘর মেরামত করে দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। তবে মনে হয় কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বালি সরে গিয়ে ঘরগুলো দেবে যাওয়াতে এমনটা হয়েছে। ঘরগুলো মেরামতের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us