কেমন আফগানিস্তান রেখে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা

কালের কণ্ঠ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১, ১০:৫৬

কাতারের বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে এসে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধবিমান সম্প্রতি কয়েক দফা আফগানিস্তানে তালেবান বাহিনীর ওপর বোমা বর্ষণ করেছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা ও তালেবানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আর কোনো মূল্য রইল না। অর্থাৎ যুদ্ধটা আগের অবস্থায় ফিরে গেল। কিন্তু পার্থক্য হলো, আমেরিকার স্থলবাহিনী না থাকায় আগামী দিনে আফগানিস্তানের জাতীয় সেনাবাহিনী ও তালেবানের মধ্যে মূল যুদ্ধটা হবে। বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের পর ছয় মাস থেকে এক বছরের মাথায় আশরাফ ঘানি সরকারের পতন হবে এবং কাবুলে ক্ষমতা দখল করবে তালেবান বাহিনী। স্থলবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে শুধু কাতার বা পারস্য উপসাগরে অবস্থিত আমেরিকান জাহাজ থেকে মিসাইল ছুড়ে ও বিমান আক্রমণ চালিয়ে কিছুদিন বিলম্ব ঘটানো গেলেও চূড়ান্ত বিচারে তালেবান বাহিনীর ক্ষমতা দখল ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। বরং মিসাইল ও বিমান আক্রমণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আগের মতো অগণিত বেসামরিক মানুষের প্রাণ যেতে পারে, ধ্বংস হতে পারে আফগানিস্তানের রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো। ফ্যাসিস্ট, উগ্রবাদী ও শান্তি বিনষ্টকারী অপশক্তিকে দমন করার জন্য যুগে যুগে যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু একটা যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আরেকটি যুদ্ধের জন্ম হয়েছে। প্রতিবারই তাতে লাভবান হয়েছে অস্ত্রব্যবসায়ী গোষ্ঠী, করপোরেট ব্যবসায়ী হাউস ও শাসকগোষ্ঠী। গবেষকদের অকাট্য দলিল সাক্ষ্য দেয়, প্রতিটি যুদ্ধ, দুর্যোগ ও মহামারিতে অগণিত মানুষের প্রাণ গেছে, তারা গরিব থেকে আরো গরিব হয়েছে। কিন্তু স্বল্পসংখ্যক মানুষ ধনী থেকে আরো ধনী হয়েছে। করোনা মহামারিতেও একই দৃশ্য দেখছি। আফগান যুদ্ধের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। অস্ত্রব্যবসায়ী ও আমেরিকার বেসামরিক ঠিকাদাররা লাভবান হলেও আফগানিস্তান যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে গেল। সামরিক-বেসামরিক মিলে ২০ বছরে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। রাজধানী কাবুলের কিছু চাকচিক্য বাড়লেও পুরো দেশ বিধ্বস্ত। ২৬ লাখ আফগান শরণার্থী হিসেবে এবং প্রায় এক কোটি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ২০ বছরে আমেরিকান বাহিনীকে যেসব আফগান বেসামরিক লোক অনুবাদ, গাড়িচালনা ইত্যাদি কাজে সহায়তা করেছে, তার সংখ্যা হবে প্রায় ৬০ হাজার, যার শতকরা ৮০ ভাগই নারী। তারা সবাই এখন দেশত্যাগ করার জন্য কাবুলে আমেরিকান দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে। কারণ তালেবান বাহিনী তাদের সবাইকে কচুকাটা করবে। হ্যাঁ, গত ২০ বছরে একটা লাভ হয়েছে, নারীর অগ্রগতি ঘটেছে। অনেক নারী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকরি এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনেও নারীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তালেবান ক্ষমতা দখল করার সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু ধুলায় মিশে যাবে। মাস দেড়-দুয়েক আগে মেয়েদের একটা হাই স্কুলে তালেবান বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে বহু ছাত্রীকে হতাহত করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us