সিলেটে শনাক্তে নতুন রেকর্ড

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০

নমুনা টেস্ট বাড়লেই বাড়ে শনাক্তের সংখ্যাও। গতকাল সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ১৭৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে সিলেটে রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। গত ২০ দিন ধরেই একই হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এর মধ্যে ৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেটের চারটি ল্যাবে বিভাগের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষায় হয়। ঈদকালীন সময়ে নমুনা কিছুটা কম পাওয়া গেলেও বর্তমানে উপসর্গ নিয়ে রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে নমুনা সংগ্রহের হারও বেড়েছে। এ কারণে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে শনাক্তের হার গত ২০ দিন ধরে একই ধারায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৫৪ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। সিলেটে সংক্রমণের হার ৩৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ১২০ জন, শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৭৮। হবিগঞ্জের ৬৬ জন, শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ২১ শতাংশ। মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ১০৬ জন, শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৭০। এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬২ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে করোনার সবচেয়ে সংক্রমিত এলাকা হচ্ছে সিলেট জেলা। এ জেলায় প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৬ হাজার ৯১৮ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ২০ হাজার ৫১২ জন, সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ২০৬ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ২৯৩ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৮৮২ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ হাজার ২৫ জন। এদিকে মৃত্যু বরণকারী ৭ জনের মধ্যে ৬ জনই সিলেট জেলার ও একজন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৬৩৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৫০৭ জন, সুনামগঞ্জে ৪৭ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন, মৌলভীবাজারের ৫৩ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন। জুলাই মাসজুড়ে সিলেটে তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারি করোনা। পরিসংখ্যানও আঁতকে ওঠার মতো। সিলেটের গ্রামে গ্রামে হানা দিয়েছে করোনা। এ কারণে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ দিনে সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬০ জন। এই সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের হলেও হাসপাতালের বাইরে মৃত্যু বরণকারীদের পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণকারীদের হিসাব নেই। করোনা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধারণা, সিলেটে উপসর্গ নিয়ে গত ২৬ দিনেও একই সংখ্যক রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে সাধারণ ওয়ার্ডেও রোগী ভর্তির সুযোগ মিলছে না। কেবলমাত্র আইসোলেশনের জন্য কিছু বেড খালি রয়েছে। কিন্তু আইসোলেশনে অক্সিজেন সাপোর্ট পাওয়া যাওয়া না। ২৬ দিনে সিলেট বিভাগে রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। প্রতিদিনই গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। সিলেটে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে ঈদকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধ বিচরণকে দায়ী করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মোজয় দত্ত জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে দুটি বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে সবাইকে টিকার আওতায় আনা। সেটি সরকার করছে। আর প্রতিটি জনগণের উচিত নিজেকে সুরক্ষা করা। এই সুরক্ষার জন্য সরকারের তরফ থেকে লকডাউন দেয়া হয়েছে। লকডাউনকে কার্যকর করা সবার দায়িত্ব। লকডাউন কার্যকর হলে সিলেটে করোনার ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us