রৌমারীতে পরকীয়ার জের ধরে এরশাদ আলী (৩০) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় মাসুদ রানা (১৯) নামের আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খেওয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরশাদ আলী ওই গ্রামের সুরুজ্জামান ওরফে ঘুতু মিয়ার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রামদা ও একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যায় এরশাদ আলী ও মাসুদ রানা টাইল্স এর কাজ করার উদ্দেশে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নির্জন স্থানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা শিহাব (১৮) ও রাসেল (২৮) তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। মারপিটের একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে এরশাদকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন মাসুদ রানা। তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নিহত এরশাদের স্ত্রী লাভলী আক্তার জানান, গত কয়েক দিন ধরে আমার জ্যাঠাত ভাই শিহাবের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। তাদের দাবি আমার জ্যাঠাত বোনের সঙ্গে আমার স্বামীর পরকীয়া আছে। এর জেরে তাকে খুন করা হয়েছে। আমার ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী এমন মানুষ ছিলেন না। এরশাদের বাবা সুরুজ্জামান বলেন, আমার ছেলে ঢাকায় টাইল্স এর কাজ করে। আমার বড় বেয়াই মিটন মিয়ার ছেলেদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তারা আমার ছেলেকে খুন করেছে। রৌমারী থানার ওসি মুনতাছির বিল্লাহ্ বলেন, লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।