করোনায় দেশে এ পর্যন্ত ১৮৮ চিকিৎসকের মৃত্যু

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১, ০০:০০

ডা. আহমেদ সামি আল হাসান (৪৫)। সহকারী অধ্যাপক। বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন। দেশে করোনা শুরুর পর থেকে কোভিড রোগীদের নিয়ে কাজ করেছেন প্রায় এক বছর। রোগীদের সেবা করতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। সুস্থ হয়ে অবার ফিরে গেছেন হাসপাতালে। সেবা করেছেন কোভিড রোগীদের। গত বছরের ২৪শে মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩০শে মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। ডা. সামি মানবজমিনকে বলেন, সুস্থ হয়ে আমি আবার কাজে ফিরে যাই। এখনো রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর খুব কাছের মানুষগুলোও যখন চলে যায়, তখন পাশে থাকেন চিকিৎসকরা। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালগুলোয় তারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছেন, পরিবারকেও আক্রান্ত করেছেন। তবু দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে অনেকে মারাও গেছেন। চিকিৎসকদের মৃত্যু তালিকায় গত বুধবার পর্যন্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩৪ জন। এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন। দেশে করোনায় প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ই এপ্রিল। সেদিন মারা গিয়েছিলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত বছরের জুন মাসটি ছিল চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য দুঃসহ। জুনে প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর আসতো। এর পরে কয়েক মাস আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে চিকিৎসকদের আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে থাকে। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও সারা দেশে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাহেদ রফি পাভেল। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেই যে আপনি করোনা আক্রান্ত হবেন না তা কিন্তু ঠিক না। আমাদের অনেক চিকিৎসক ভ্যাকসিনের ডোজ কমপ্লিট করার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনা সুরক্ষার জন্য চিকিৎসকের যে ইকুইপম্যান্ট লাগে সারা দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালেই এর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। সরবরাহও অনেক সময় থাকে না। আর ছোট হাসপাতালগুলোতে গেলে দেখা যায় করোনা প্রতিরোধের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us