মদের কারবারেও অমি

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১, ০০:০০

উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন মাহমুদের ঘনিষ্ঠ আদম ব্যবসায়ী তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে বিদেশে মদ পাচারের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন মামলার তদন্তকারীরা। অমি আকাশ পথে হযরত শাহজালাল এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে মদ বাংলাদেশে আনতেন। তাকে মদ সরবরাহ করতেন অস্ট্রেলিয়ায় থাকা তার এক বন্ধু। ওই বন্ধু দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সেখানে আছেন। বিমানবন্দরের চোরাকারবারীদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে জিনজার বার ও জাজিরবমস নামে দুই ধরনের অস্ট্রেলিয়ান মদ আনতেন তিনি। অবৈধভাবে বিদেশ থেকে মদ বাংলাদেশে আনায় বিমানবন্দরের চোরাকারবারীদের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠেছিল। পরে অমি বেশি লাভের জন্য ভারতে সীমান্ত পথে চোরাইভাবে তা পাচার করতেন। এছাড়াও অমির বাসায় গড়ে উঠেছিল এক মিনি বার। ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণে দেশি-বিদেশি মদ জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। অমি তার বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে তার বাসায় রাত-বিরাতে মদের আড্ডা বসাতেন। ওদিকে বোট ক্লাবের ঘটনায় পরীমনি ও ওই ক্লাবের সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন মামলার তদন্তকারী। পরীমনি অভিযোগ করেছেন যে, ওই ক্লাবে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। করা হয়েছে ধর্ষণের চেষ্টা।  আর নাসিরের অভিযোগ যে, উচ্চ মূল্যের মদ না দেয়ায় পরীমনি তাকে গ্লাস ছুঁড়ে মারাসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে পিটিয়েছে। সেখানে কোন প্রেক্ষাপটে ঝামেলাটি হয়েছে তা মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির  মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে তারা। কললিস্টে মাফিয়া জগতের কয়েকজনের নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে অমি ও নাসিরের কী সম্পর্ক আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।গত রোববার নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে পরীমনি জানান, উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গত সোমবার সকালে সাভার থানায় একটি মামলা করেন তিনি। মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা বোট ক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৬ জনকে আসামি করেন। ওই দিনই মাদকসহ নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতের আদেশে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অন্যদের এখন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।নাসিরের মাদক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের পরিদর্শক উদয় কুমার মণ্ডল জানান, ‘তারা মামলাটি তদন্ত করছেন।’ মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা গতকাল জানান, নারী পাচার ছাড়াও অমি মদের কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিদেশ থেকে মদ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন বারে সরবরাহ করতেন তিনি। এছাড়াও আকাশ পথে আমদানি করে আনা মদ পাশের দেশে সরবরাহ করতেন। সূত্র জানায়, অমি অস্ট্রেলিয়া থেকে যে মদ দেশে আনতেন তার বড় লভাংশ তার পকেটে যেতো। তার এ চক্রে আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছে মামলার তদন্তকারীরা। তাদের ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে। সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশের রিমান্ডে থাকা নাসির উদ্দিনের মোবাইল ফোনের কললিষ্ট যাচাই-বাছাই করছেন মামলার তদন্তকারীরা। নাসিরের সঙ্গে পরীমনির যোগাযোগ ছিল কী না- সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছেন তারা। তবে নাসির রিমাণ্ডে বলেছেন যে, পরীমনিকে তিনি চিনতেন না। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। পরীও রাজধানীর মিন্টো রোডে এসে ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তিনিও নাসিরকে চিনতেন না। ঘটনার দিন অমি তাকে ওই ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে তৃতীয় কোনো পক্ষের যোগসূত্র আছে কী না-তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us