উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের রাউৎগাঁও এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ৩দিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে ৩ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে অপহৃত ওই ছাত্রীকে বাগবাড়িয়া কবরস্থান এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের রাউৎগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী গত ১৩ই জুন সন্ধ্যায় একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে জাকারিয়ার মুদি দোকানে সদাই কিনতে যায়। ওই সময় পেচাইন গ্রামের আম্বর আলীর ছেলে রমজান আলীর নেতৃত্বে জাকারিয়া, রাউৎগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে রায়হান ও আবু তালেবের ছেলে মেহেদী হাসানসহ ৪ জন মিলে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে সোমবার সকালে তার বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অপহরণকারীদের পরিবারকে ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে তাদের পরিবার অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গতকাল দুপুরে বাগবাড়িয়া কবরস্থান এলাকায় ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। পরে ছাত্রীকে উদ্ধার করে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, অপহরণকারী মেহেদী হাসানের সহযোগিতায় ৩ বন্ধু রমজান, রায়হান, জাকারিয়াসহ ৪ জন ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। অপহৃত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টেরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অপহৃত ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়েকে অপহরণ করে ৩ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে একটি কক্ষে তারা গণধর্ষণ করেছে। অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মেয়েকে রাস্তায় ফেলে যায়। সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারের রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।