সিরাজগঞ্জে পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- তাড়াশ থানার বিনসারা গুচ্ছগ্রামের আনোয়ারের ছেলে মোন্নাফ (৫৫), একই থানার তালম গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন (৪০), উল্লাপাড়া থানার মনিরপুর গ্রামের বাবু সরকারের ছেলে শুভ (১০), সলঙ্গা থানার হাট কান্দাপাড়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মুন্নী খাতুন (১০) , বেলকুচি থানার সগুনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫)। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক জানান, গতকাল ভোররাতে বিনসারা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোন্নাফ বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে গতকাল দুপুরের দিকে স্থানীয় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি মতিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, গতকঅল দুপুরে বাড়ির পাশে শিশু শুভসহ আরো কয়েকজন শিশু ফুটবল খেলছিল। একপর্যায়ে হেলেপড়া একটি বাঁশের কঞ্চি হঠাৎ শুভ’র গলায় ঢুকে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় শিশু শুভ। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গতকাল দুপুরে হাট কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে স্কুলছাত্রী মুন্নীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, গতকাল দুপুরে ঘুড়ি উড়ানোর একপর্যায়ে শিশু রবিউল বাড়ির পাশে একটি পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পায় তার বাবা। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।