বাসা ভাড়া করে নাসির-অমির অনাচার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১, ০০:০০

রাজধানীর উত্তরার পৃথক পৃথক স্থানে বাসা ভাড়া করে রক্ষিতা রাখতেন নাসির এবং অমি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদল হতো তাদের রক্ষিতা। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে আটক হওয়া প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন এবং অমির কাছ থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বর্তমান রক্ষিতা হচ্ছে নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। উত্তরার একটি নামকরা স্কুলে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির তাকে ভর্তি করে দেন। উচ্চতায় কম হওয়াতে তাকে দেখতে বয়সে আরও ছোট মনে হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী জানিয়েছেন তার বয়স ১৮ বছর। গত ৯ মাস ধরে নাসির তাকে উত্তরার একটি ভাড়া বাসায় রক্ষিতা হিসেবে রেখেছেন। সেখানকার বাসা ভাড়া প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। পুরো বাসায় অত্যাধুনিক সব আসবাবপত্র। আভিজাত্যের যেন ত্রুটি নেই। পরিচয় সূত্রে ওই তরুণীকে ফুসলিয়ে রাজধানীতে নিয়ে আসেন নাসির। কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা পুরো বিষয়টি জানলেও পারিবারিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাদের কোনো আপত্তি ছিল না। ফলে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নাসির দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবতীর সঙ্গ নিচ্ছেন।সূত্র জানায়, বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের মনোরঞ্জন করতে নারীসঙ্গী সরবরাহকারী তুহিন সিদ্দিকী অমির উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের যে বাসায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে সেখানেই থাকতেন অমির রক্ষিতা বান্ধবী। অমির নারী রক্ষিতার সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ ছিল নাসির এবং অমির আরেক বন্ধু বাছিরের। উত্তরার ওই বাসায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকছেন অমির বান্ধবী পরিচয় দানকারী এক নারী। নাসিরসহ অমির অন্য অতিথিদের রক্ষিতাদের ভালোমন্দ দেখভাল করতেন ওই নারী। যে বাসায় প্রায় রাতেই বসতো নাসির, অমি, বাছির এবং তাদের আরও ঘনিষ্ঠজনদের মদের আড্ডা। আসরে মাদকের পাশাপাশি অমি তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের ওই বাসাতেই নারীদের নিয়ে ফুর্তির ব্যবস্থা করতেন। কখনো কখনো অমির বান্ধবীও ব্যবসায়ীদের মনোরঞ্জন করতেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরায় অমির ওই বাসা ভাড়া ৫০ হাজার টাকা। বাসাটিকে যে কারোর কাছে ফ্যামিলি বাসা মনে হবে। অমির ওই বান্ধবী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও পড়ালেখায় এখন তিনি নিয়মিত নন। গত মঙ্গলবার রাতে অমির উত্তরার একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে শতাধিক পাসপোর্ট এবং নগদ টাকা সহ অমির দুই অফিস সহায়ক বাছির এবং মশিউর নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বাছির অমির অফিসের সহায়ক হলেও তিনিই মূলত অমির যাবতীয় কুকর্মের সাক্ষী। নাসির এবং অমির সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিন নারীর মধ্যে বাছিরের নারী রক্ষিতাও রয়েছে। বাছির ওই নারীকে সকলের কাছে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকেন। ব্যক্তিগত জীবনে বাছির বিবাহিত এবং সন্তানের জনক। অমির সহায়তায় বাছির উত্তরার একটি ভাড়া বাসায় রাখতেন তার ওই কথিত স্ত্রীকে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরীমনির সঙ্গে ওই ঘটনার পর নাসির এবং অমি উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে চলে যান। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, প্রধান অভিযুক্ত নাসির এবং অমির আরও কোনো নারী বান্ধবী (রক্ষিতা) রয়েছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us