পৃথিবীর কোনো দেশের আইন মানব পাচারের পক্ষে নয়। অনেক আগেই উঠে গেছে প্রচলিত দাস প্রথা। কিন্তু উদ্ভাবন হয়েছে দাস প্রথার নব্য সংস্করণ। অনেকে অবৈধভাবে প্রবাসে গিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৈধভাবে না যাবার কারণে ভালো কোনো কাজও পাচ্ছেন না। মালিক যেমন ইচ্ছা খাটিয়ে নিচ্ছেন। সড়কের পাশে কিংবা জঙ্গলেই কাটছে তাদের রাত। এছাড়া, স্থানীয় পুলিশের ভয় নিত্যদিনের সঙ্গী। মানব পাচারের শুধু বিদেশ সংশ্লিষ্ট নয়, দেশের অভ্যন্তরেও মানব পাচার হয়ে থাকে। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘মানব পাচার’ অর্থ কোনো ব্যক্তিকে (ক) ভয়ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ করে; বা (খ) প্রতারণা করে বা ওই ব্যক্তির আর্থ-সামাজিক বা পরিবেশগত বা অন্য কোনো অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে; বা (গ) অর্থ বা অন্য কোনো সুবিধা লেনদেন-পূর্বক ওই ব্যক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন ব্যক্তির সম্মতি গ্রহণ করে; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে যৌন নিপীড়ন বা শ্রম শোষণ বা অন্য কোনো শোষণ বা নিপীড়নের উদ্দেশ্যে বিক্রয় বা ক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকিয়ে রাখা বা আশ্রয় দেওয়া।