কালীগঞ্জে শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার লেদমালিক শাহীন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জসিম হোসেন ওরফে বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে রোববার বিকাল বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঠ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খুর, দড়ি, নিহত শাহীনের প্যান্ট, টর্চলাইট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আটক জসিম হোসেন ওরফে বাবু উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মমিন উল্লার ছেলে। রোববার বিকালে ৫ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান আসামিকে সঙ্গে করে হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধারে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে যায় পুলিশ। আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঠের বিভিন্ন জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খুর, দড়ি, নিহত শাহীনের প্যান্ট, টর্চলাইট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে গত ৫ই জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বেশকিছু টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল শাহীন। এ সময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা বাবুল ও বাবু নিহত শাহীনকে কলাবাগানে খুর দিয়ে গলাকেটে ও পরে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকাল ৮ টার দিকে কলাবাগান থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতিপূর্বে মিজানুর রহমান বাবুলকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাগর শিকদার জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকা থেকে জসিম হোসেন ওরফে বাবুকে আটক করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের পর নিহত শাহীন যাদের সঙ্গে চলাফেরা করতো তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয় পুলিশ। সকলের কললিস্ট আমরা সংগ্রহ করি এবং দ্রুততার সঙ্গে তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করি। তাদের দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আলামত উদ্ধার করেছি।