কমলনগরে পাল্টাপাল্টি হামলা, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ কর্মী আহত, ভাঙচুর
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি হামলায় ৮ কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল বিকালে ইউনিয়নটির ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মির্জা আশ্রাফুরজ্জামান রাসেল অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতনের নেতৃত্বে গতকাল বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দেয়া হয়। বিকালে ওই মহড়া থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তার নির্বাচনী কার্যালয়ে তারা হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার কর্মী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রুবেল ও নাছিরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। একই সময় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও পোস্টার লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে খবর পেয়ে তার লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নৌকা প্রতীকের কর্মী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির বলেন, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী রতন নিজে লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন। প্রথমে রতন কিল-ঘুষি মাড়লে অন্যরাও আমার ওপর চড়াও হন। এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা গত শনিবার রাতে তার একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে রিয়াজ নামে এক কর্মীকে আহত করেছে। গতকাল তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ওই কার্যালয়ে দেখতে যাওয়ার পথে নৌকার কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে কামাল ও রাসেল নামে ২ কর্মী আহত হন। একই সময় ফাজিল ব্যাপারিরহাটে তার আরেকটি নির্বাচনী অফিসে নৌকার লোকজন হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ ২ কর্মীকে আহত করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।