প্রায় একশ’ বছরের পুরনো ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের কোনও সুযোগ নেই বলে মনে করছেন আইনজীবী ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ব্রিটিশদের শাসন কর্তৃত্ব ধরে রাখার প্রয়াসে সে সময়ে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের উদ্ভব হয়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল উপমহাদেশের জনগণের থেকে ব্রিটিশদের সুরক্ষা প্রদান এবং প্রয়োজনে জনগণের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা। তাদের দাবি, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট প্রণয়নকালে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার ধরন আজকের সময়ের মতো ছিল না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই আইনটি সাংবাদিকতার সঙ্গে যায় না।
১৯২৩ থেকে ২০২১
প্রায় শত বছর আগে ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ শাসক অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট প্রণয়ন করে। এরপর ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার আগে উপমহাদেশ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়। মানচিত্রের ব্যবধানে ব্রিটিশ থেকে পূর্ব পাকিস্তান এবং অবশেষে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীনের পর সংবিধান প্রণয়নের পাশাপাশি ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও ভারতীয় আমলের বেশ কিছু আইনকে সংশোধন করে দেশীয় আইনে রূপান্তরিত করা হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই আগের অবস্থায় থেকে যায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট। সম্প্রতি সাংবাদিকের ওপর এই আইনের ব্যবহারকে সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।