মাতব্বরের গাফিলতিতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রী মিনারার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১, ০০:০০

‘আমার মৃত্যুর জন্য রনি দায়ী। সে আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে’- এমন একটি চিরকুট লিখে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মিনারা আক্তার (১৫)। সে স্থানীয় লাউটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তারাকান্দা থানায় দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর মামলায়  বেরিয়ে এসেছে ইউপি সদস্যসহ এলাকার মাতব্বরদের গাফিলতির চিত্র। জানা গেছে, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদিঘী গ্রামের মকবুল হোসেনের স্কুলপড়ুয়া কন্যা মিনারা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গালাগাঁও ইউনিয়নের বালিজানা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের পুত্র রাকিব হাসান রনির (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৫ই মে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রেমিক রনি গোপনে প্রেমিকা মিনারার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়ির লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। খবর পেয়ে গালাগাঁও ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের সদস্য বালিজানা গ্রামের মজিবর রহমানের নেতৃত্বে প্রেমিক রনির লোকজন মিনারার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন অপবাদ ও গালিগালাজ করে রনিকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে নিজেরা গভীর রাত পর্যন্ত অমীমাংসিত গ্রাম্য সালিশ চালায়। এক পর্যায়ে মিনারা আক্তার পলাতক প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে। পরবর্তীতে মজিবর মেম্বার সঙ্গীসহ স্কুলছাত্রী মিনারাকে তার পিত্রালয়ে ফিরিয়ে দেয়। মিনারা আক্তারের বড় ভাই রেজাউল জানান, পরদিন রোববার ভোররাতে মিনারা আক্তার প্রেমিক রনির বাড়িতে আবারও যায় এবং সেখানেই বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর ইউপি সদস্য মজিবর এর হুকুমে তার লোকজন মিনারাকে তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কের পাশে বালিজানা নয়াপড়া ব্রিজের নিচে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন মিনারাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অসুস্থ মিনারাকে বহনকৃত ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনারাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় মিনারার পরনের পায়জামায় লুকানো একটি চিরকুট উদ্ধার করে।        তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, এ ব্যাপারে তারাকান্দা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us