সুন্দরবনে অনুমতিপত্র আটকে মৌয়ালদের জরিমানা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১, ০০:০০

সুন্দরবনে মৌয়ালদের মধু আহরণের অনুমতিপত্র আটকে রেখে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করছে বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় কোনো প্রতিকার না পেয়ে গত রোববার শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন মৌয়ালরা। শরণখোলা এলাকার ভুক্তভোগী মৌয়াল অলি হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তিনিসহ বাগেরহাট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ৯ জনের একটি দল গত ১লা এপ্রিল শরণখোলা স্টেশন থেকে ১৫ দিনের পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যান। এরপর সুন্দরবন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী পারমিট নবায়ন করতে ১৫ই এপ্রিল সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে যান। সেখানে হাজির হলে কোকিলমনির বনরক্ষীরা তাদের কাছে মধু উৎকোচ দাবি নিয়ে মৌয়ালদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন তাদের পারমিট দেখার কথা বলে পারমিট নিয়ে নেয়। পারমিট ফেরত না দেয়ায় তারা কোস্টগার্ডের সহায়তায় শরণখোলায় ফিরে এসে বনবিভাগের স্টেশন কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে পারমিট আটকে রাখার বিষয়টি অবহিত করেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা এ সময় পারমিট ফিরিয়ে এনে সমর্পণ করার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং বিকল্প পারমিট নিয়ে মধু সংগ্রহে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর বিকল্প পারমিটের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে ফিরে আসলে শরণখোলা স্টেশনের বনরক্ষীরা তাদের জানায় পূর্বের পারমিট সমর্পণ না করায় প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। যা এখন প্রতিদিন তিন হাজার টাকা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাকা পরিশোধ না করলে তাদের নামে বন মামলা দায়ের করা হবে। বনরক্ষীদের এমন কথা শুনে মৌয়ালরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের ঘরবাড়ি বিক্রি করলেও লাখ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই কোনো উপায় না পেয়ে তারা শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ডাকযোগে প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্র প্রেরণ করেছেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, মৌয়ালদের অভিযোগের ব্যাপারে সুন্দরবন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, কোকিলমনিতে পারমিট আটকে রাখার কথা মৌয়ালরা তাকে জানালে তিনি রেঞ্জে কর্মকর্তার শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা পারমিট সমর্পণ করতে না পারায় তাদের প্রত্যেকের এক লাখ টাকা জরিমানা হয়ে গেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, পারমিট সমর্পণ করানোর দায়িত্ব তার নয়। তাছাড়া পারমিটের মেয়াদ এক মাসের বেশি উত্তীর্ণ হয়ে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। এখন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছাড়া এর কোনো সমাধান তাদের হাতে নেই। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তিনি রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us