আইসোলেশন কক্ষের একী দশা!

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১, ০০:০০

করোনা মোকাবেলায় ৫০ শয্যা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একটি আইসোলেশন কক্ষ। ওই কক্ষকে ঘিরেই হাসপাতালে কাজ করছেন ১৫ সদস্যের একটি দল। নন-এসি ওই আইসোলেশন কক্ষটিতে অবস্থান করবার জো নেই। কক্ষটি করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর জন্য মোটেও নিরাপদ নয়।দেশের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা ভাল না। আক্রান্তের লাগাম টানতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে এ হাসপাতালের আইসোলেশন কক্ষটি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের।সম্প্রতি সরজমিন দেখা যায়, দ্বিতীয় তলার প্রথম ফটকে ঝুলছে তালা। তালা খুলে ভেতরে পা রাখতেই ফ্লোরে বালুর স্তুপ। আইসোলেশন কক্ষে প্রবেশের রাস্তায়ও বালু প্রলেপ। পাশের টয়লেটগুলো ময়লা আবর্জনায় সয়লাব। কমোডে ও নিচে ময়লা। কয়েকটি একেবারে ব্যবহার অনুপযোগী। বেসিন গুলোতে নেই সাবান ও টিস্যু। লালচে দাগের ছড়াছড়ি। আইসোলেশন কক্ষে প্রবেশ করেই চমকে যেতে হয়েছে। কারণ প্রবেশদ্বারে নেই জীবানুনাশক স্প্রে বা স্যানিটাইজার। তিনটি বেড। সবকটি বেডেই প্রচুর ধুলো। একটি মাত্র সিলিং ফ্যান। দেওয়ালে শেওলা ও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। কিছু জায়গায় টাইলস্ ওঠে গেছে। দেওয়ালে ঝুলছে ময়লা। কক্ষের সঙ্গেই যুক্ত টয়লেট। টয়লেটে প্রবেশের দরজা ভাঙ্গা। কোথাও নেই স্যান্ডেল। নেই সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার। সব মিলিয়ে ওই কক্ষটি করোনা রোগীদের থাকার অনুপযোগী।করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই চিকিৎসক ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় রোগীকে পাঠিয়ে দেয়া হত জেলা শহরের আইসোলেশনে। জরুরি প্রয়োজন মোকাবেলায় এক পর্যায়ে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একটি আইসোলেশন কক্ষ খোলা হয়। ওই কক্ষটিতে হাসপাতালের ষ্টাফ নেছার তাছলিমাসহ ৪-৫ জন আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এরপর আর অদ্য পর্যন্ত ওই আইসোলেশনে কোন রোগী ভর্তি হয়নি।সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালে ৭ সদস্যের একটি কমিটি আছে। ১৫ সদস্যের আরেকটি টিম কাজ করছে। আইসোলেশন পুরোপুরি প্রস্তুুত আছে। কোন সমস্যা নেই। ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে কোন রোগী ভর্তি হয়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us