শামসুর রাহমানের ‘পণ্ডশ্রম’ কবিতার সেই চিলকে এখনো আমরা ধাওয়া করে চলেছি। ধর্ম, ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা—এসব কারণে আমরা গুজব বা মিথ্যা রটিয়ে বেড়াই। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে গুজবের গুরুত্ব এতটাই বেড়ে গেছে যে বৈজ্ঞানিকভাবে গুজব নিয়ে গবেষণা করতে হচ্ছে।
গুজবের অন্যতম প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো, যখন ছড়ানো হয়, যিনি বা যাঁরা ছড়ান, সব সময়ই দাবি করেন, তিনি যা বলছেন, তা গল্প নয়, ‘তথ্য’। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গুজবকে কি আমরা তথ্য বলতে পারি? অবশ্যই না। কারণ, তথ্যের সংজ্ঞায় কেমব্রিজ অভিধান বলছে, ফ্যাক্ট বা প্রকৃত অবস্থা, মানে যেকোনো ব্যক্তি, ঘটনা এবং অবস্থা সম্পর্কে প্রকৃত ধারণাই হলো তথ্য।
আবার ফ্যাক্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডেমোক্রেটিক সিনেট সদস্য এবং সমাজবিদ ডানিয়েল প্যাট্রিক ময়নিহান বলছেন, মতামত নিজস্ব হতেই পারে, কিন্তু ফ্যাক্ট নিজস্ব হতে পারে না। মানে যেকোনো বিষয়ে আপনার নিজের মত থাকতেই পারে, কিন্তু নিজের মতো করে সত্য থাকতে পারে না।