‘নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন আমাকে দেখালো বাবর’

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

বুধবার ১৩ জুন ২০০৭ দিন ৬২আমার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাবাসের এখন দু’মাস পূর্ণ হয়েছে। আগত দিনগুলোতে বহুদিন যাবৎ বাংলাদেশ আর তার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কীভাবে এবং কোন কাঠামোতে পরিবর্তিত হবে, তার ফলাফল কী হবে, ভালো না মন্দ, এ নিয়ে কেউই সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবে না। পৃথিবীর যে কোনো দেশে নির্বাচিত বা অনির্বাচিত যাই হোক না কেন, একজন সরকার প্রধান বা নেতার অবস্থিতি অপরিহার্য। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের স্বার্থে। সে সরকার হতে পারে রাষ্ট্রপতি কিংবা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত, কর্তৃত্বপরায়ণ কিংবা প্রতিষ্ঠানভিত্তিকভাবে উদারভাবাপন্ন, শক্তিশালী কিংবা দুর্বল। আমরা সবাই বুঝি যে, বর্তমান সরকার হলো সামরিক বাহিনী সমর্থিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রক্সি সরকার- কিন্তু প্রশ্ন হলো এখানে মূল নেতৃত্ব কার হাতে? যদি এটি একটি গ্রুপের অধীনে থেকে থাকে তাহলে সেই গ্রুপ বা কাউন্সিলের অস্তিত্ব কোথায়? এই শূন্যতা দীর্ঘদিন, চলতে পারে না এবং দীর্ঘদিন তা চললে তাতে অনিশ্চয়তা, পরস্পরবিরোধিতা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্ব বরং অনেক বেড়ে যাবে। এর ফলে সেনাবাহিনীর এবং প্রশাসনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও কারচুপি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে। কোনো সর্বজনগ্রাহ্য নেতৃত্বের উদয় না হলে গোটা সমাজব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। বর্তমান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে মনে হচ্ছে দুর্বল, অদক্ষ এবং অসমন্বিত। নিজেদের গন্তব্য সম্পর্কেই তারা সন্দিহান। তারা যদি মনে করেন যে, নিজেদের গন্তব্য তাদের জানা আছে, তাহলে বাংলাদেশী সমাজ ও রাজনীতির গতিশীলতা তাদের সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না।বৃহস্পতিবার ১৪ জুন ২০০৭ দিন ৬৩সমস্ত দেশ এখন কিছুসংখ্যক অপরিপক্ক ও বেপরোয়া জেনারেলের হাতে জিম্মি। যদি ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সুষ্ঠু না হয় তাহলে এর খেসারত দেবে কে? বরং দেশ তখন সম্মুখীন হবে এক চরম অনিশ্চয়তায়। চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটায় ১২০ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু সরকার হাসিনার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আসলে সরকার চাচ্ছে কী?হাসিনার ওপর দেশত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অবশ্যই তা করা হয়েছে সামরিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। ইতিমধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে আরো দু’টি মামলা। মাত্র কয়েক মাস আগে সরকার তাকে দেশে আসতে দেয়নি। অথচ এখন তাকে যেতে দিচ্ছে না দেশের বাইরে। এতেই বোঝা যায় কী রকম দিক-নির্দেশনাবিহীন সরকারের অধীনে আমরা বাস করছি।এখন এটা ব্যাপকভাবে আলোচিত ও জানাজানি হয়ে গেছে যে, খোদ দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ভেতরেই দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। প্রচলিত নিয়ম এই হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ইচ্ছামাফিক যে কাউকে আটক করতে পারে। আবার ইচ্ছামাফিক যে কাউকে আটকাবস্থা থেকে মুক্তিও দিতে পারে। বিশেষ এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের আটক করার পর টাকার বিনিময়ে আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, একই প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে গোটা ব্যবসায়ী সমাজের ওপর অব্যাহত থাকতে যাচ্ছে। এটা এখন শুধু একটা সময়ের ব্যাপার।এদের দ্বারা প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় কাউকে সম্মান দেখানোর রেওয়াজটাই বাতিল হয়ে গেছে। শিক্ষা-দীক্ষা বা দেশের জন্য কোনো অবদান রাখা- কোনো বিবেচনাতেই এখানে কাউকে সম্মান দেখানো হয় না। আমার পরিবার ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর না রেখে গত ৫০ বছর যাবৎ আমি দেশের জন্য যে কাজ করে গেছি আজ ৭০ বছর বয়সে এসে আমি তার প্রতিদান পাচ্ছি। এখন আমার সন্তানেরা, আমার পরিবার ও গোটা সমাজ এই পরিণতিকে কীভাবে দেখবে? সুযোগ থাকলে এই সরকার বোধহয় হাসনাকেও জেলে পুরে রাখতো। এ সরকারের কাছে এর বেশি কিছু বোধহয় প্রত্যাশাও করা যায় না।শুক্রবার ১৫ জুন ২০০৭ দিন ৬৪যৌথবাহিনী ১১ দিনের রিমান্ডে ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অন্ধকূপে নিয়ে যাওয়ার পর একজন তরুণ ব্যবসায়ী, একসময় অত্যন্ত ক্ষমতাধর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, খালেদা জিয়া ও তার পুত্র ক্ষমতার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী তারেকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাজন লুৎফুজ্জামান বাবরের ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। সকলেই ভেবেছিল যে, বাবর ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বুটেনিস-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং ফলে সরকার সহজে তাকে ঘাটবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবরও শেষরক্ষা করতে পারেনি এবং প্রাথমিকভাবে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাকে আটক করা হয়। অবশ্য এই অভিযোগ ছিল একটা লোকদেখানো ব্যাপার মাত্র। এর পেছনের কাহিনী ছিল আরো অনেক গভীরে প্রোথিত। এই সেলেরই একজন বন্দি হিসেবে আজ সে আমার কাছে তার দুঃখের কাহিনী বর্ণনা করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হলো যে, এই দুর্যোগময় সময়গুলোর পর কারো সঙ্গে ভাববিনিময় করার জন্য বাবর একরকম আকুল হয়ে পড়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোয়েন্দারা তাকে যে অত্যাচার করেছে সে নির্যাতনের চিহ্নস্বরূপ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষতচিহ্ন আমাকে দেখালো বাবর। আমি জানি না হঠাৎ করে কেন আমার ওপরই সে আস্থাবান হয়ে পড়েছিল। খুব সম্ভবত আমার প্রতি কোনো কারণে তার কিছুটা শ্রদ্ধাবোধ ছিল। অবশ্য এক পর্যায়ে সে আমাকে তা বলেছেও।দুর্নীতির যে ফিরিস্তি বাবর আমাকে দিয়েছে আমি তাতে হতবাক হয়েছি। যৌথবাহিনীর হাতে ইতিমধ্যেই সে প্রায় ২১ কোটি টাকা তুলে দিয়েছে। ওর কথা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হচ্ছিল। তার বর্ণনা শোনার সময় তিক্ততা ও বিরাগে আমার সমস্ত সত্তা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয়, আজ অন্যদের দুর্নীতির জন্যই জেল খাটতে হচ্ছে আমাকে। হাতেগোনা কয়েকটি লোকের জন্য শুধুমাত্র আমি বা আমার পরিবার নয়, গোটা রাজনৈতিক দল এবং সার্বিক অর্থে গোটা দেশশনিবার ১৬ জুন ২০০ দিন ৬৫ অনেকদিন যাবৎ একটি সুগভীর প্রোথিত আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জের ধরে বাংলাদেশকে একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ প্রতিপন্ন করে এর ভাবমূর্তি বিনষ্টের প্রয়াস চালানো হচ্ছিল। বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক, আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও একাধিকবার দেশে এবং বিদেশে নিজের দেশ বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, সে প্রয়াস এখন সাফল্যের মুখ দেখতে যাচ্ছে। রাজনীতি হলো যে কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি মৌলিক ভিত্তি। রাষ্ট্র ও রাজনীতি সামগ্রিকভাবে একই সত্তা এবং পরম্পর অবিভাজ্য। এ দু’টি পরস্পরের সঙ্গে একীভূত ও সমন্বিত। অন্যদিকে রাজনীতির মূল নিয়ন্ত্রক হলো রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। রাজনৈতিক নেতৃত্ব সময়ে সময়ে ভুল করতে পারে বা পুরোপুরি উপযুক্ত না-ও হতে পারে। কিন্তু নেতৃত্ব ছাড়া রাজনীতি হয়ে পড়বে অস্তিত্বহীন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব রাতারাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করতে একটি রাজনৈতিক দলের দশকের পর দশক সময় পার হয়ে যায়- জনগণের সমর্থনে অভিষিক্ত জাতীয় পর্যায়ে একজন নেতা হতে লেগে যায় সুদীর্ঘ সময়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়লে এর ভিত্তিই দুর্বল হয়ে পড়বে। কাজেই এখন যারা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল কিংবা নয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির আপ্তবাণী উচ্চারণ করছেন প্রকারন্তরে তারা রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তিকেই করে তুলছেন দুর্বলতর।রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দুর্বল হলে তার সুফল ভোগ করবে কে? অবশ্যই ভারত। আর দুর্ভোগ পোহাবে দেশের আপামর জনসাধারণ। এ সময়ে হাসিনা বা খালেদার যে দুর্বলতাই থাকুক না কেন, তারা ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা এবং সর্বদা দেশ ও জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্যই তাদের ক্ষমতায় অভিষিক্ত করা হয়েছে। সে কারণেই ১৯৯৬-২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনা ভারতকে তাদের প্রত্যাশিত সবকিছু দিতে রাজি ছিলেন না বলে ভারত কিংবা তার গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ শেখ হাসিনার ওপর খুব একটা সস্তুষ্ট ছিল না। তাদের দৃষ্টিতে, বাংলাদেশে প্রয়োজন এমন একটা নতজানু সরকার, যা সবসময় ভারতীয় নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। হাসিনা তাদের যা দিতে পারেননি জেনারেল মইন ইউ আহমেদের মাধ্যমে সম্ভব হয় অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখবে। তাদের পরিকল্পনা অনুসারে যৌথবাহিনীর বেপরোয়া কার্যক্রম একসময় সেনাবাহিনী ও জনগণকে করে তুলবে মুখোমুখি এবং এমন একটা পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটবে যে, সরকার নিরাপত্তার খাতিরে ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করবে। এখানেই কবর রচিত হবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের।আমার ভাই শাকের, স্টাফ আমির ও মুনির এসেছিল আমাকে দেখতে। কেউ আমাকে দেখতে এলে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। এ হলো এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি- বন্দিদশার একঘেয়েমির মাঝে সামান্য সময়ের জন্য হলেও ব্যতিক্রমধর্মী এক ভিন্ন ভাব।রবিবার ১৭ জুন ২০০৭ দিন ৬৬আমি অপেক্ষা করে থাকি আবার কবে আমাকে কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সেদিন আবার বাইরের পৃথিবীর সংস্পর্শে আমি আসবো, আমি দেখতে পাবো আমাকে অভ্যর্থনা করতে আসা আইনজীবীদের, সেই জনতা, আমার বোন নাফিসা, সেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আমি নিজে এবং বাইরে চারদিকের দৃশ্যাবলী। এসব আমার কাছে মনে হয় বড়ই রোমাঞ্চকর। এভাবেই একদিন এসে যাবে আমার বিরুদ্ধে অ্যালকোহল সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের দিন। আমার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনেক সংখ্যক আইনজীবী হাজির থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই আদালতের অনুমতি নিয়ে আমার নিজের পক্ষ সমর্থন করে আদালতকে বিনীতভাবে নিবেদন করবো যে, এই অভিযোগ আইনের আওতা বহির্ভূত, কাজেই আদালতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।সুবিচার এবং বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে এখন কতকগুলো বোধগম্যহীন ব্যাপার ঘটেছে। কোর্টে আমার কাছে খবর এসেছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি, তার পরিবারবর্গ, অফিসের কর্মচারীদের ওপর সবরকমের নির্যাতন, অত্যাচার ও অপদস্থতা ছাড়াও আর্মি অফিসার ও ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সদস্যরা আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের শাসিয়ে দিচ্ছে তারা যেন অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির পক্ষাবলম্বন করে আদালতে না আসেন। ইতিমধ্যেই দু’দফা এ ধরনের পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রধানসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিনিয়র আইনজীবীদের ডেকে তাদের অভিযুক্তদের পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন যাদের সঙ্গে আজ পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়নি বিধায় বিভিন্ন কোর্টে অভিযুক্তদের পক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমানুল্লাহ আমানের ৭৫ বছর বয়স্ক আইনজীবী সাবেক বিচারপতি এমএ মালেককে এ ব্যাপারে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে এই মর্মে লিখিতভাবে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে যে, আমানের মামলা শেষ হওয়ার পর তিনি আর কারো পক্ষে মামলা লড়তে পারবেন না। মীর নাছিরের আইনজীবী বোরহানুদ্দিনের বেলায়ও ঘটেছে একই ঘটনা। গত রাতে তাকে ক্যান্টনমেন্টে ডেকে পাঠিয়ে সেনাবাহিনীর অফিসারেরা বলে দিয়েছেন। তিনি যেন অনতিবিলম্বে মামলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। তিনিও মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছেন যে, তিনি আর কারো পক্ষ সমর্থনে মামলা লড়বেন না। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জনাব টি.এইচ. খানের উপরও একই বিধিনিষেধ আছে। অথচ অনেকেই এসব আইনজীবীকে নিজেদের জন্য নিয়োগ করার কথা ভাবছিল। আওয়ামী লীগের সাবেক একজন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ পর্যন্ত কোনো আইনজীবী নিয়োগই করতে পারেননি।(চলবে..)আরো পড়ুন-মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭)
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us