কুয়াকাটায় লেক পার্ক নামে মেয়রের হরিলুটের প্রকল্প

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়  বেড়িবাঁধের বাইরে সৈকত লাগোয়া এলাকায় কোনো ধরনের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন, অর্থায়ন ছাড়াই ৪ কোটি টাকার লেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র। তার গৃহীত বায়বীয় এ প্রকল্পের পাশেই চলছে সৈকত সুরক্ষার কাজ। পৌরসভার দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে মেয়র পরিকল্পিত লেকসহ সরকারি খাস জমি দখল ও বালুর ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পদ দখলে নিতে মরিয়া কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। এদিকে জলাধার লাগোয়া ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত ‘ট্যুরিজম পার্ক’টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। মুজিব শতবর্ষে ২০২০ সালের ১০ই মার্চ এই পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নকশা বহির্ভূতভাবে ট্যুরিজম পার্ক নির্মিত হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না পর্যটকরা। এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না হলেও ফের এ পার্কটির পাশে সরকারি কয়েক কোটি টাকার আরেকটি লেক (জলাশয়) পরিচ্ছন্ন করার কাজে নেমেছেন নবনির্বাচিত কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। এ নিয়ে কুয়াকাটার স্থানীয় মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি প্রশাসনের জমিতে ব্যক্তি স্বার্থে লেক নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনা। স্থানীয়রা জানান, ওই জলাশয়ের বেড়িবাঁধের ভেতরে ও বাইরের অংশে প্রায় ৫ একর ভূমি দখলে নিয়েছে এক প্রভাবশালী জাপা নেতা। আর ওই জলাধার-জমি দখলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন জাপা নেতা ও বর্তমান মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। যা দখলে নিতে অন্তত: ১৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জলাধার ও উচ্ছেদকৃত পরিবারের জায়গাগুলোর মালিক পাউবো। এখন আবার বেড়িবাঁধের বাইরের জায়গায় পাউবোর অনুমতি ছাড়াই লেকপার্ক নির্মাণের নামে চলছে বহুমুখী নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প। তবে এটা কি সেই হেভিওয়েট জাপা নেতার স্বার্থে? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘বেড়িবাঁধের বাইরে কোনো প্রকার উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। দরপত্র ছাড়া ৪ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হরিলুট ছাড়া কিছুই হতে পারে না। ‘সম্প্রতি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের প্রায় ৫০ একর জমি দখলে সহযোগিতা করেছেন বর্তমান মেয়র। এখন আবার তাদের হয়ে কোনো অনুমোদন ছাড়াই নতুন প্রকল্প পৌরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে এক সময়।’ কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’এ জলাধার ব্যবহারে লিখিত কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। সেখানকার অধিকাংশ জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মেহেরাজ বলেন, এ বিষয়ে তাদের কোনো কিছুই অবগত করা হয়নি। কুয়াকাটার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার সৌন্দর্য্যবর্ধনে যে সকল খাসজমি রয়েছে তাতে দৃষ্টিনন্দন কর্মকাণ্ড করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us