টেকনাফে কমছে কৃষি জমি

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নে দিন দিন কমছে আবাদকৃত কৃষি জমির পরিমাণ। ওই কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে দালান, কল-কারখানা, ঘরবাড়ি, সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইটভাটাসহ নানা স্থাপনা। এ ছাড়া বিশাল একটি সমতল জমির অংশে চাষ হচ্ছে লবণ। শুধু তাই নই, বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিতে গিয়ে বনভূমির বিরাট একটি অংশেও বসতি গড়ে উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, সাবরাং, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ও টেকনাফ পৌরসভার বিশাল অংশের জমিতে কৃষিকাজ হতো। এখানে বর্ষা মৌসুুমে ধান চাষ ও শুষ্ক মৌসুুমে বিভিন্ন প্রকার ক্ষেতের চাষ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতো। কালের পরিক্রমায় এখন সেই আগের মতো চাষ দেখা যায় না। আবাদকৃত এসব কৃষি জমির উপর অবৈধ ইটভাটা স্থাপন, স’মিল, লবণের মাঠ, মৎস্য চাষের নামে পুকুর খনন, মুরগির ফার্ম, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সুপারি বাগান ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক স্থাপনা নির্মাণাধীন। এ ছাড়া পর্যটনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, ইটভাটায় কৃষি জমির মাটি বিক্রিসহ নানা কারণে টেকনাফে আবাদি কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। এভাবে দিন দিন জমির পরিমাণ কমলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বসবাসের জন্য মাথা গোঁজার মতো জায়গা পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার পৌরসভাসহ ৭ ইউনিয়নে আবাদকৃত কৃষি জমির পরিমাণ ১০ হাজার ৮১৫ হেক্টর। টেকনাফ পৌরসভার আবাদকৃত কৃষি জমির পরিমাণ ৫ হেক্টর, হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৬ হাজার ৪৩০ হেক্টর, হ্নীলা ইউনিয়নে ১ হাজার ১৮০ হেক্টর। বাহারছড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০ হেক্টর, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর, সাবরাং ইউনিয়নে ৭৪০ হেক্টর ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টর জমি রয়েছে। টেকনাফে মোট অনাবাদি কৃষি জমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৭২৮  হেক্টর। অপরদিকে, টেকনাফের ৫ ইউনিয়নের হোয়াইক্যং হ্নীলা, টেকনাফ সদর, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের নাফ নদী ও সাগর উপকূলে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে লবণ মাঠ হিসাবে ব্যবহারিত হচ্ছে। লবণের দাম বৃদ্ধি হলেই কৃষি জমিকে লবণ উৎপাদনের মাঠে পরিণত করা হয়। ফলে কৃষি জমি প্রায় লবণ চাষের পেটেই চলে যাচ্ছে। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কৃষি জমির উপর গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভাসহ বিভিন্‌্ন ইউনিয়নে আবাদি কৃষি জমি থেকে শুরু করে অনাবাদি জায়গার উপর অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিকরা রাতারাতি বাংলাদেশি সেজে বসতবাড়ি নির্মাণ ও জায়গা জমির মালিক বনে গেছেন স্বনামে-বেনামে। টেকনাফ একটি সম্ভবনাময় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর পরিবেশ বান্ধব সংরক্ষণ করা নিতান্ত প্রয়োজন হলেও এর প্রতিকারে কারো নজর নেই। এই প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আবাদি কৃষি জমিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেকোনো ধরনের স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান করতে হলে অনুমতি প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us