গত বছর জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কয়েকটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল দেশটির সরকার। ভেবেছিলাম আমাদের দেশে জরুরি অবস্থা বলতে আমরা যা বুঝতাম এখানেও বুঝি জরুরি অবস্থা সেই রকমই। কিন্তু এখানে বাস, ট্রেন, অফিস-আদালত, সুপারশপ সবই জরুরি অবস্থা চালু হওয়ার আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলেছিল। তবে তফাৎটা ছিল এই, রাত ৮টার পর সব রেস্তোরাঁ বন্ধ হতো। সরকার মনে করেছিল, এই রেস্তোরাঁগুলো হলো করোনা সংক্রমণের অন্যতম ক্ষেত্র।
জাপান সরকার বিষয়টি পিনআপ করতে পেরেছিল বিধায় নাগরিকদের দিনের কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চললেও সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় এই জরুরি অবস্থার সফলতা পায় দেশটি। প্রথম ঢেউটি দ্রুত কমিয়ে আনতে পেরেছিল। শুধু তাই নয়, রাত ৮টার পর এক রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাকরিও হারাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যখনই কোনো অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছিল, তখনই সেখানে জরুরি অবস্থা দিয়ে তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।