ঘরবন্দি মানুষের পাশে ডা. শিপলু

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

গত বছর রমজানের আগের দিন। এমনি করেই করোনা শঙ্কা ছিল সর্বত্রই। সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান তখন জীবিত। লকডাউনে থমকে গিয়েছিল জীবনযাত্রা। কামরান বসে থাকেননি। নিজের তহবিল থেকে রমজানে ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেন। স্ত্রী আসমা কামরান, বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলুকে নিয়ে আগের রাতে নিজ বাসায় প্যাকেজিং করেন। এরপর সকাল হতেই নিজের এলাকা মাছিমপুরের হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেন খাদ্যসামগ্রী। এরপর নিজ বাসায় করেছিলেন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন খাবার সামগ্রী। গোটা রমজান মাসজুড়ে কামরান ছিলেন খাদ্য সামগ্রী বিতরণে ব্যস্ত। কখনো নিজ তহবিল থেকে আবার কখনো দলীয় পর্যায়ের ত্রাণ বিতরণে সময় কাটিয়েছেন। রমজানের পরপরই কামরানের পরিবারে আঘাত হানে করোনা। স্ত্রী আসমা কামরান প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর কামরান নিজেই। মহামারি করোনায় মৃত্যুবরণ করেন কামরান। এরপর থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কামরান পরিবার। বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু শোক কাটিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন। তবে তিনি ভুলেননি পিতার কর্মকাণ্ড। মনে আছে তার বিগত দিনের কথা। রমজানের আগের দিন কামরান নিজ বাসায় কয়েকশ’ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন খাদ্যসামগ্রী। এবারো করোনা বিপর্যস্ত মানুষ। কামরানের পরিবার বসে নেই। রমজানের আগের দিন গতকাল একই ভাবে কামরানের পরিবারের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সকালে কামরানের বড় পুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলুর পক্ষ থেকে নগরীর কালিঘাটে দরিদ্র মানুষের মধ্যে মাছ বিতরণ করা হয়। এর আগে অবশ্য পাড়ার হতদরিদ্র মানুষের বাসায় বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় খাবার সামগ্রী। এই খাবার সামগ্রী তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতেই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিলো। বেলা আড়াইটার দিকে শিপলু নিজের বাসায় বাকি থাকা দরিদ্রদের মধ্যে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন। কামরানের মৃত্যুর পর অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তার স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা কামরান। এখনো তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। স্বামীর স্মৃতি রোমন্থন করে যাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি এবার মনে করিয়ে দিলেন আসমা কামরান নিজেই। রমজানের আগের দিন মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণে কামরান দিনভর ছিলেন ব্যস্ত। জানালেন- করোনাভাইরাস এবং লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে কামরান মানুষকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সব সময় তার মাথায় থাকতো মানুষের কথা। এ কারণে লকডাউনে থাকা মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে তিনি রমজানের আগের রাত পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে তিনি খাবার সামগ্রী প্যাকেজ করেছেন। সকাল থেকে তিনি খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন। পুরো রমজান মাস এভাবেই কাটিয়েছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। এ ছাড়া ঈদের সময় রান্না করা সেমাই ও খাদ্য সামগ্রী মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন। আসমা কামরান জানালেন- মানুষের সেবা করে কামরান আনন্দ পেতেন। মানুষই ছিল তার কাছে সব। এদিকে বড় ছেলে ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানিয়েছেন- ‘সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ সব সময় মানুষের সেবায় ব্যস্ত থাকতেন। আমৃত্যু তিনি হাসিমুখে মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি কখনো কাউকে বিমুখ করেন নি। এ কাজ তিনি হাসিমুখে করতেন। মৃত্যুর পর তার স্মৃতি ধরে রাখতে আমরা মানুষের পাশেই রয়েছি।’ তিনি আরো জানান- ‘জীবিত থাকা অবস্থায় আমার পিতা কামরান যেভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতেন, আমরা এখন সে ভাবেই চাইছি মানুষের পাশে থাকতে। আমরা সেবার মাধ্যমে সিলেটবাসীর কাছে সাবেক এই মেয়রের স্মৃতি ধরে রাখতে চাই।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

Ron DeSantis ends election campaign, backs Trump

২ মাস, ১ সপ্তাহ আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us