‘আমাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আমাদের ওপরই হামলা’

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

‘আমরা যাদের অনুদান দিয়ে সহায়তা করি তারাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাহলে আমরা কাকে সহায়তা করবো? এটি এখন ভাবনার ব্যাপার।’ হেফাজতের হরতাল-বিক্ষোভে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে জেলা পরিষদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরতে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, গত অর্থবছরে জেলার তিনশ’র বেশি মসজিদে অনুদান দিয়েছে জেলা পরিষদ। টাকার অঙ্কে যা ১০-১২ কোটি টাকা হবে। এ ছাড়া মন্দির, শ্মশান, কবরস্থানের কাজের জন্যও তারা অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু জেলা পরিষদ এভাবে সেবা প্রদান করলেও হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম। হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। গতকাল দুপুর ১টায় জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮শে মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলোসহ সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, গত ২৬শে মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ৪০০-৫০০ মাদ্রাসাছাত্র এবং দুষ্কৃতকারীরা শহরের কাউতলি এলাকার জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ডাকবাংলোতে অবস্থানরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার কোনোরকমে আত্মরক্ষা করেন। এ ছাড়া বাংলোর তৃতীয় তলার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ২৮শে মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র ও দুষ্কৃতকারীরা অতর্কিত জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের আঙিনায় থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরে মাদ্রাসাছাত্র ও দুষ্কৃতকারীরা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে নিচতলায় অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা গ্যারেজে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয় তলায় এসে বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো মেরামতে ২ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। আর সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতি টাকার অঙ্কে আনুমানিক ৫ কোটি টাকা হবে। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান চেয়ারম্যান শফিকুল আলম।সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সচিব মেহের নিগার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আজাদ, সদস্য জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us