শরীয়তপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূর গর্ভের সন্তানকে হত্যা
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
শরীয়তপুরে আন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ৮ মাসের গর্ভবতী ওই নারীর পেটে থাকা সন্তান গর্ভেই মারা যায়। অতঃপর বুধবার রাতে ওই সদর হাসপাতালে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন গৃহবধূর স্বামী। এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার সকালে গৃহবধূ নামাজ পড়ে হাঁটতে গেলে পার্শ্ববর্তী ইউনুছ রাঢ়ি ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে গৃহবধূকে মারধর করে বাগানে রেখে ইউনুছ পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধু জানান, ডাক্তারের পরামর্শে সকালে নামাজ পড়ে হাঁটতে যাওয়ার পর, অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাঢ়ি পিছন থেকে এসে তার শরীরে হাত দেয় এবং তাকে জড়িয়ে ধরে। নিজেকে বাঁচাতে ইউনুছের হাতে কামড় দিয়ে বাঁচার জন্য চিৎকার করে। চিৎকার শুনে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাঢ়ির বাড়ির লোকজন এসে উল্টো তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত ইউনুছ রাঢ়ি জানান, আমি সকালে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সময় ওই নারী আমাকে জড়িয়ে ধরে, পূর্ব-শত্রুতার জেরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক করা হচ্ছে। তবে মারধরের কথা এড়িয়ে যান তিনি। সদর হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হোসনে আরা রোজী জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়। সেখানে দেখা যায় তার সন্তান মারা গেছে। পরে বুধবার রাতে তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা সনোলোজিস্ট ডা. আব্দুস সোবহান জানান, ওই নারীকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিনই ওই তার পেটে থাকা সন্তান মারা গেছে। এ বিষয়ে নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছি। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।