শীতলকুচিতে বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত অন্তত ৪, রিপোর্ট চাইল কমিশন

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৩

প্রাণহানি দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। বেলা বাড়তে সেই শীতলকুচিতেই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এ বার সেখানে আরও ৪ ব্যক্তির প্রাণ গেল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। মাথাভাঙা হাসপাতালে তাঁদের ময়নাতদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও ৪ ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতরা সকলেই তাঁদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের।


শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সিআরপিএফ জওয়ানরা বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির। গোটা ঘটনায় ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ।


চুঁচুড়ায় লকেটের গাড়ি ভাঙচুর, হাতে আঘাত, অভিযুক্ত তৃণমূল, অস্বীকার জোড়া ফুলের


চুঁচুড়ায় আক্রান্ত হলেন প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। লকেটকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন লকেট। সে জন্যই তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন।


শনিবার সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ চুঁচুড়া বিধানসভার ৬৬ নং বুথের ঘটনা। লকেট অভিযোগ করেছেন, ওই বুথে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিলেন। তিনি বাধা দিতেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। এমনকী তাঁকে ও তাঁর দলের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করেন লকেট। পরে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় হাতেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।


রাজ্যবাসীকে বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান মোদী-মমতার


ভোট চতুর্থীর সকালে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ভোট দিতে উৎসাহ জোগালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সকালেই বাংলায় টুইট করেছেন তিনি। যেমন করেছিলেন আগের তিন দফাতেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করেছেন। সেই টুইটে তিনিও বঙ্গবাসীকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।


শনিবার সকালে করা টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার ভোট শুরু হয়েছে। আজকের ভোটদাতাদের কাছে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আহবান জানাচ্ছি। তরুণ ও মহিলা ভোটারদেরও বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ একই বয়ানে তিনি অন্য টুইট করেছেন ইংরেজিতেও।


চতুর্থ দফাতেও প্রাণহানি, ঝরল রক্ত, বিক্ষিপ্ত অশান্তি রাজ্য জুড়ে


বড় ধরনের অশান্তি ছাড়াই রাজ্য জুড়ে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রক্তপাত ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। আনন্দ বর্মণ নামের ওই কিশোরের বয়স ১৮ বছর। এ বারই প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিল। সেইসময় বুথের বাইরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলি চললে, ছুটে পালাতে যায় সে। তখনই তার পিঠে গুলি লাগে। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আনন্দের।


অন্য দিকে, কলকাতা-সহ জেলা থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। ভোট শুরু হওয়ার আগে উত্তেজনা ছড়ায় কসবায়। সেখানে বিজেপি-র প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ-র বিরুদ্ধে বস্তিতে গিয়ে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বেলার দিকে বিজেপি কর্মীদের বেআইনি জমায়েত রুখতে লাঠিও চালাতে হয় পুলিশকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us