মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিতে আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। সেনা সরকার দাবি করেছে, তারা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এবং গণতন্ত্র ফেরাতে কাজ করছে। খবর রয়টার্সের।
গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট উইন্ট মিন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এসময় একবছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা করলো জান্তা সরকার মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সামরিক বিমান হামলার পর তিন হাজারের বেশি অধিবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
মিয়ানমারে সেনাদের গুলিতে একদিনে ১৪১ জন নিহত। সহিংসতা বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের শনিবার দিনটি ছিল মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। এদিনেই সেখানে মারা গেছে ১৪১ বিক্ষোভকারী। ২৭ মার্চ মিয়ানমারের জান্তা সরকার বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করে। আগেরদিনই এক টেলিভিশন বার্তায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জান্তা সরকার বলেছিল শনিবার যদি কেউ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তাহলে তাদের মাথায় ও পেছনে গুলি করা হবে। তাদের সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নেমে আসে। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জান্তা সরকারের সশস্ত্র বাহিনী।
গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে মিয়ানমারের জান্তা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, দেশের জনগণকে রক্ষা ও গণতন্ত্র অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে সেনাবাহিনী। ২৭ মার্চ, শনিবার তিনি এ কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।