নোয়াখালীতে প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ব্যবসায়ী ফারুকের কাছ থেকে প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি (নোয়াখালী)। গতকাল দুপুর ২টার দিকে আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একই দিন দুপুর পৌনে ২টায় নোয়াখালী সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি মানবজমিনকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে অভিযুক্ত তিন আসামিকে ডিএমপি, যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় তদন্তকারী অফিসার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো.আবু নোমান সিআইডি নোয়াখালীর নেতৃত্বে ঢাকার কদমতলী থানাধীন ব্যাংক কলোনি সংলগ্ন পাটেরবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে জাকির (৬৬), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার দেবরাজ গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে, সানোয়ার হোসেন সানু ওরফে হাসান (৩৫), টঙ্গি থানার পূর্ব দত্তপাড়া এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিন ফকিরের ছেলে, মো. রুহুল আমিন (৫২), মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে। এ সময় আটককৃত, আসামিদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন, প্রতারণা করে আত্মসাৎকৃত ১ লাখ ১৫,৪৪২ টাকা জব্দ করা হয়। প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী মো. ফারুক (৪২), গত বছরের জুন মাসের বিভিন্ন তারিখে আসামিদের নগদ ১০ লাখ টাকা প্রদান করে। এ ছাড়াও একই আসামিরা বাদীকে ফার্নিচারের কাজ করাবে বলে বাদীর নিকট হতে বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বাদী আসামিগং কর্তৃক প্রতারণার শিকার হয়েছে মর্মে বুঝতে পেরে আসামিদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।