হাওরে কৃষকের টাকায় পাকা হচ্ছে সড়ক

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০

জগন্নাথপুরে কৃষকের টাকায় হাওরের ফসল নিয়ে যাতায়াতের সড়ক পাকাকরণ কাজ চলছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি সহায়তা না পেয়ে অবশেষে কৃষকের টাকায় গত পাঁচ বছর ধরে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কাজ শুরু হয়েছে।স্থানীয় কৃষকরা জানান, জগন্নাথপুর পৌরসভার শেরপুর এলাকা থেকে নলুয়ার হাওরের হরতাজপুর (ত্রিশ নামের) সড়কটি পাকাকরণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সড়ক নির্মাণে কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। বাধ্য হয়ে কৃষকরা নিজেদের অর্থ দিয়ে সড়ক পাকাকরণ কাজ শুরু করেন। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ২০১৭ সালে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩০০ ফুট পাকাকরণ কাজ হয়, ২০১৮ সালে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০০ ফুট, ২০১৯ সালে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০০ ফুট, ২০২০ সালে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার ও চলতি বছর সাড়ে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০০ ফুট নির্মাণ কাজ করা হবে। গতকাল থেকে ওই সড়কে কাজ শুরু হয়।এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইকড়ছই, ছিলিমপুর, বলবল, ভবানীপুর, শেরপুর-যাত্রাপাশা, খালিকনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২ হাজার কৃষক পরিবার শেরপুর- হরতাজপুর দিয়ে নলুয়া হাওরের বোরো ফসল ওঠান। বোরো মৌসুমে মাঠের পাকা ফসল তোলার সময় সড়কটি কাদাযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে করে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কৃষকরা। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সুফল মেলেনি। শেষে ফসল রক্ষায় পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং এই ৩ ওয়ার্ডের কৃষকদের অর্থায়নে ২০১৭ সালে সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। সেই থেকে প্রতি বছর এই মৌসুমে কাজ শুরু হয়। গতকাল ওই সড়কের ত্রিশনামক এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে।পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শেরপুর এলাকার বাসিন্দা লুৎফুর রহমান জানান, এ সড়ক দিয়ে নলুয়ার হাওরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বোরো জমির ধান উত্তোলন হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাদাযুক্ত হয়ে সব ধরনের যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পাকাকরণ কাজের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৯ সালের তৎকালীন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সড়কের কাজ পরিদর্শন করে এ বছর কমপক্ষে এক কিলোমিটার কাজ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।স্থানীয় সরকার জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কটি পৌরসভার অংশে রয়েছে। এটি এলজিইডি’র আইডিবিহীন সড়ক। তবে সড়কটি গেজেট হলে আমরা নির্মাণ করতে পারবো।জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন বলেন, সড়কটি পৌরসভার আওতাধীন কিনা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবো। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে উদ্যোগ নেবো আমরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us