বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছিল ২০১৯ সালের জুনে। গত বছরের ১৪ই মে সর্বশেষ বয়স্ক ভাতা তুলেছিলেন বয়োবৃদ্ধা সূর্য বানু বেগম। পরে টাকা তুলতে গেলে তাকে বলা হয়, তিনি নাকি মৃত! সেই থেকে প্রায় এক বছর ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশসহ প্রভাবশালীদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন হতদরিদ্র সূর্য বানু। স্থানীয় ইউপি সদস্যের রেজিস্ট্রার খাতাতেও মৃতদের তালিকায় নাম থাকায় শূন্য হাতেই ঘরে ফিরেছেন অসহায় এ বৃদ্ধা। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল গণি খাঁর স্ত্রী তিনি। তার দেয়া তথ্য মতে, বয়স্ক ভাতার ১৫৩৫ (১) নম্বর বইয়ের সুবিধাভোগী ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বটিয়াঘাটাস্থ সোনালী ব্যাংকের ০১০২২৫৩৫ হিসাব নম্বরে সরকার প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা পেয়েছিলেন সূর্য বানু বেগম। অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যায় তার। পরে ব্যাংকে, ইউপি মেম্বার ও গ্রামপুলিশের কাছে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, তিনি মৃত! এরপর থেকে বিভিন্ন জনের কাছে গিয়েও সুরাহা পাননি সূর্য বানু বেগম। তার কার্ডটি অর্থের বিনিময়ে অন্য কাউকে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গ্রাম পুলিশ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, একই নামের একজন মৃত ব্যক্তির সঙ্গে সূর্য বানু বেগমের নাম মিলে যাওয়ায় এমন ভুল হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বয়স্ক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মেম্বার সাহেব। স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন বলেন, নামে মিল হওয়ায় এমন ভুল হয়েছে। তার কার্ডটি বাতিল করা হয়নি। অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। স্থগিত করা হয়েছিল। তিনি তার বকেয়া অর্থ এককালীন উত্তোলন করতে পারবেন ব্যাংক থেকে।