হারাগাছে ত্রিমুখী লড়াই

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

শেষ মুহূর্তের নির্বাচনে জমে উঠেছে রংপুরের বিড়ি শিল্প এলাকাখ্যাত কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপি প্রার্থী সমান তালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছেন। ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে এলাকার ভোটারদের অভিমত। নিজ ঘরের দু’প্রার্থীর কারণে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ দুশ্চিন্তায় থাকলেও স্বস্তিতে বিএনপি। এদিকে আওয়ামী লীগের মাঝে বিদ্রোহকে পুঁজি করে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের যেমন অবস্থান রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. হাকিবুর রহমান (নৌকা), পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বিদ্রোহী বহিষ্কার প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মো. এরশাদুল হক (নারিকেল গাছ) ও বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মোনায়েম হোসেন ফারুক (ধানের শীষ)। প্রতীক বরাদ্দের পর ৩ প্রার্থীই ভোট ও দোয়া নিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন পৌরসভার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে পৌর এলাকার উন্নয়নে আরেকবার সুযোগ চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। আওয়ামী লীগ থেকে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিগত ৫ বছর উন্নয়ন প্রকল্প না আনতে পারায় পৌরসভার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে চিন্তা করছেন অনেকে। দলের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. এরশাদুল হক। অপরদিকে দুর্নীতিমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন মডেল পৌরসভা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী। জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ বিএনপি’র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাতে পারলে সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে পারবে বলে নির্বাচন বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, ১৬ দশমিক ৩২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হারাগাছ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৬৯৩ জন ও নারী ভোটার ২৫ হাজার ৩২৪ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হাকিবুর রহমান বলেন, গত ৫ বছরে হারাগাছ পৌরসভার যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত কোনো মেয়র করতে পারেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এরশাদুল হক বলেন, ভোটারদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে আমি নির্বাচনে এসেছি। বিএনপি প্রার্থী মোনায়েম হোসেন ফারুক বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। সেই সময় ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো। রংপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বিঘ্নে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us