প্লাস্টিকের খাঁচায় থরে থরে সাজানো লাল টমেটো। যন্ত্রে দেওয়ার পর সেই টমেটো পরিষ্কার হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, মানুষের হাতের স্পর্শ ছাড়া। মানুষের হাতের ব্যবহার হচ্ছে শুধু দাগ ধরা টমেটো বাছাইয়ের সময়। কারখানার বেল্টের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রমিকেরা বাছাই করছেন নষ্ট টমেটো। সেই টমেটো আবার চলে যাচ্ছে আরেক জায়গায়। পরিণত হচ্ছে গোখাদ্যে।
বিশালাকায় যন্ত্রের আরেক পাশে টমেটো থেকে তৈরি করা হচ্ছে পেস্ট। সেখান থেকে আবার টমেটোর বীজ বা বিচি ও খোসা আলাদা করা হচ্ছে। এরপর সেটা ১০৫ থেকে ১০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জীবাণুমুক্ত করে অ্যাসেপটিক ব্যাগে ভরে আরেক কারখানায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে টমেটো কেচাপ। সেই টমেটো কেচাপই বোতলজাত হয়ে বিক্রি হচ্ছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও। এভাবেই রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রাণের কারখানায় তৈরি টমেটোর পেস্ট পৌঁছে যাচ্ছে দেশ–বিদেশে। গত বুধবার সাংবাদিকদের সেই কারখানা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।