চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ৪নং বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও প্রকল্প লুটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের সমন্বিত অঞ্চল চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি টিম সকাল ১১টায় বটতলী ইউনিয়ন পরিষদে সরজমিনে তদন্তে আসে। এ সময় দুদকের মুখোমুখি হতে হয় চেয়ারম্যান মান্নানকে। পরে দুদকের দলটি চেয়ারম্যান মান্নান ও ইউপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অভিযোগকৃত প্রকল্পগুলো পরিদর্শনে যায়।জানা যায়, ৪নং বটতলী ইউনিয়নের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রওশন আক্তার মুন্নীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে আসে দুদকের দলটি। অভিযুক্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শাহ মোহছেন আউলিয়া বিকল্প সড়ক, পশ্চিম বৈরিয়া সড়ক, পূর্ব বৈরিয়া সাপমারা খালের পাইপ কালভার্ট, পূর্ব বৈরিয়া মাহাবুব আলী সড়ক।চট্টগ্রাম-২ দুদক সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দীন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এলাকার সাধারণ জনগণের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে শিগগির প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের তদন্ত টিম পরিদর্শনে আসে। এ নিয়ে দুদকের টিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ প্রকল্পের কাজতো আমি করিনি। করেছে সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বাররা। তদারকি করেছে স্থানীয় সরকার পরিষদের ইঞ্জিনিয়াররা। প্রকল্পের অর্থ লুট করলে তারা করেছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই। সত্য ঘটনা উদঘাটন হবে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।