সীতাকুণ্ডে এক বছরে ৭৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

সীতাকুণ্ডে গত এক বছরে ৭৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। এদিকে গ্রেপ্তারের পর জেলে গেলেও জামিনে এসে আবারো ডাকাতি করে এলাকাকে অস্থির করছে। ঐসব ডাকাতরা। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বে পাহাড় ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত সীতাকুণ্ড উপজেলা শিল্প ও ব্যবসায় সমৃদ্ধ হওয়ায় এই এলাকায় চুরি-ডাকাতি সবসময় বেশি হয়। স্থানীয় ডাকাতের সাথে বহিরাগত আন্তঃজেলা ডাকাতরা পরস্পরের যোগসাজশে এখানে নিয়মিতই চুরি-ডাকাতি সংঘটিত হয়। বিগত কয়েক দশকেও এ অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে বারবার পুলিশ ও র‌্যাব ক্রসফায়ার দেয়ার পর কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারো ডাকাতি সংঘটিত হয় এখানে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো এ উপজেলার বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সেনাইছড়ি, মুরাদপুর ও পৌরসভাসহ কয়েকটি এলাকায় এমন অনেকগুলো পরিবার আছে যাদের একমাত্র উপার্জনের পেশাই হলো ডাকাতি। ডাকাতির পর পুলিশ ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া এসব চিহ্নিত পরিবারের ডাকাতদের বহুবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠালেও জামিনে এসে আবারো তারা এলাকায় ডাকাতিতে লিপ্ত হয়। ফলে এলাকায় স্বস্তি ফেরে না। সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক দিদারুল ইসলাম টুটুল বলেন, এখানে  বেশিরভাগ চুরি ডাকাতি করে আন্তঃজেলা ডাকাত দল। তারা বাইরে থেকে এসে হঠাৎ মহাসড়কে কোন গাড়িতে এসে কিংবা সাগর উপকূলে স্পিড বোড যোগে এসে চুরি-ডাকাতি করে। তবে এমন পরিস্থিতিতে তিনি পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করে বলেন, এখানে গত কয়েক যুগ ধরে এভাবেই কিছু দিন পর পর চুরি ডাকাতি হয়। পুলিশও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে বহু ডাকাত গ্রেপ্তার করে থাকে। কিন্তু তারা আদালতে পাঠানোর পর আবার জামিনে এসে ডাকাতি  শুরু করে। তিনি বলেন বিজ্ঞ আদালত যদি আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করা ডাকাতরা জামিন প্রদান বন্ধ করে দিতেন তাহলেই একমাত্র ডাকাতরা এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হবে। এদিকে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে এলাকায় টহল দিয়ে তাদের অভিযানে অনেক আসামি গ্রেপ্তারও হয়েছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গত একবছরে আমরা মোট ৭৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু জামিনে এসে প্রত্যেকেই আবার ডাকাতিতে লিপ্ত হচ্ছে। এ কারণে আমরা সমস্যা পড়ছি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us