ভোলায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চুল কাটার পর থেকেই লজ্জায় মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল ইসলাম বোরনউদ্দিনের দারুস সুন্নাত মডেল মাদরাসার শিক্ষক।
জানা যায়, দৌলতখান উপজেলার লেজপাতা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের কামিল পড়ুয়া মেয়ে খাদিজার সঙ্গে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ৮ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাদরাসা শিক্ষক সাইফুলের কর্মস্থল বোরহানউদ্দিনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন ওই দম্পত্তি। বর্তমানে ওই নারী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। খাদিজার অভিযোগ, আগ থেকেই তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও যৌতুকের টাকার জন্য মারধরও করা হয় তাকে। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে খাদিজাকে মারধর করে তার মাথার চুল কেটে আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং ঘরের মধ্যে তালা মেরে সাইফুল মাদরাসায় চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার হয়ে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। তিনি আরও জানান, তার বাবা না থাকায় স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রতিবাদ করেননি।