একের পর এক ইভেন্ট, ম্যাচ, টুর্নামেন্ট, বছর জুড়ে ব্যস্ততা, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক রোমাঞ্চের ডালি সাজানো ছিল এই বছর। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে মিলিয়ে গেছে সব। ঠাসা সূচির বছরেই ছিল টানা স্থবিরতা। সম্ভাব্য তুমুল ব্যস্ততার বছরে দেশের সব খেলাতেই পড়েছে লম্বা বিরতি। বছরের শুরু আর শেষে খেলা যেটুকু হয়েছে, তাতে ছিল সাফল্য-ব্যর্থতার মিশেল।
ক্রিকেট
টেস্ট ম্যাচ বেশি খেলতে না পারা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাহাকার বরাবরের। সেদিক থেকে এবছরের সূচি ছিল আশীর্বাদের মতো। ১০টি টেস্ট খেলার কথা ছিল এবার। এক বছরে এত টেস্ট কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ। কিন্তু বছর শেষে প্রাপ্তি মোটে ২ টেস্ট!
পাকিস্তান সফরে একটি, শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটি, দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি করে টেস্ট ম্যাচ পিছিয়ে গেছে। পিছিয়ে যাওয়া বলতে বাস্তবে আসলে ভেস্তে যাওয়াই। এই ৮ টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি বা তিনটি টেস্ট হয়তো ভবিষ্যতে আয়োজন করার কিছু সম্ভাবনা আছে। বাকিগুলোর আশা আর নেই বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা বা তিন টেস্টের সিরিজ খেলার সুযোগ খুব একটা হয় না বাংলাদেশের। সেদিক থেকে এই ক্ষতি প্রায় অপূরণীয়।