করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারি ঠেকাতে জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যেই দুটি টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির দেশটি শুরুতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয়। এরপর গতকাল শুক্রবার মডার্নার তৈরি করোনার অনুমোদন দেয় দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই দুটি টিকার মধ্যে মিল-অমিল তুলে ধরেছে।
দুই টিকার মধ্যে মিল: দুটি টিকাতেই মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এতে মূলত মানুষের কোষে প্রোটিন তৈরির জন্য নির্দেশনা থাকে, যা করোনাভাইরাসের অংশবিশেষের অনুকরণ করে। এ নির্দেশনা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে কার্যকর করতে উৎসাহিত করে এবং শরীরকে ভাইরাসপ্রতিরোধী টিকা কারখানায় পরিণত করে। এ টিকাতে কোনো প্রকৃত ভাইরাস থাকে না। ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না দুটি টিকা করোনাভাইরাসের পৃষ্ঠে থাকা মুকুটসদৃশ স্পাইককে লক্ষ্যবস্তু বানায়। ওই স্পাইকগুলো মূলত মানবদেহের সবল কোষগুলোকে ভাঙার কাজ করে।