স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বা শেষ নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাবে অক্সফোর্ডের টিকা৷ তবে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে টিকা আসার কথা৷ সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি৷ তবে আগে এলেও সমস্যা নেই৷ প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে৷''
বাংলাদেশ আপাতত শুধু অক্সফোর্ডের টিকা নিয়েই ভাবছে৷ মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবনা একেবারেই নেই৷ অক্সফোর্ডের টিকা সংরক্ষনের জন্য মাইনাস ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে৷ প্রতিটি জেলায় টিকা রাখার জন্য পর্যাপ্ত ফ্রিজ আগে থেকেই আছে৷ নতুন করে আরো কিছু ফ্রিজ কেনার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে৷ পাশাপাশি যারা টিকা দেবেন তাদের প্রশিক্ষণও শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরেই৷ তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত অন্য টিকাও যদি আগে পাওয়া যায় সে চেষ্টাও সরকার করছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম৷
তিনি বলেন, টিকা সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন ইকুইপমেন্ট, এডি সিরিঞ্জ, সেফটি বক্স, এইএফআই কিট বক্স, এইএফআই ফরমস, সার্জিক্যাল মাক্স, পয়েন্টিং ম্যাটেরিয়ালস, আইস প্যাক, ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার, আইস লাইনার রেফ্রিজারেটর, পুশিং ফ্রিজ ইনডিকেটর, ফ্রিজ ট্যাগ, সেফটি বক্সসহ যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ কিছু আমাদের আছে আর কিছু কেনার জন্য ইতিমধ্যে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে৷ এসব চাহিদা পূরণের জন্য সরকারকে আগেই চিঠি দিয়েছিল টিকা সংক্রান্ত কমিটি৷