ঘন কূয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কারণে কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। নদী ভাঙনের শিকার ৮ হাজার পরিবারসহ চার শতাধিক চরের হত দরিদ্র দিনমজুর পরিবার কর্মহীনতা ও অর্থাভাবে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করতে পারছে না। পাশাপাশি সরকারিভাবে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে কয়েক লাখ মানুষের।
এ বছর কুড়িগ্রাম দেড় মাস স্থায়ী ৫ দফা বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হয়েছে। আবাদী জমি ঢেকে গেছে বালুতে। নদী ভাঙনের শিকার ৮ হাজার পরিবার রাস্তা, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষায় আছেন পুণর্বাসনের। এ অবস্থায় টানা কর্মহীনতা আর চালের দাম বৃদ্ধির কারণে অভাব জেঁকে বসেছে চরে। গত কয়েকদিন ধরে 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' হিসেবে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। অর্থাভাবে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করতে না পেরে শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষরা চরম কষ্টে পড়েছেন।