প্রতিটি বাড়ির একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, কাঠের দোতলা আর চারপাশে নাম না-জানা অসংখ্য ফুলে ভরা বাগানে ঘেরা। মনে হবে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি, সৃষ্টিকর্তা যেন ঢেলে সাজিয়ে রেখেছেন।
জেনেভা থেকে চলে গেলাম লুজার্ন। সেখানে বিশাল প্রমোদতরিতে লেকের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় চক্কর দিয়ে দ্রুতগামী প্যানারমিক ট্রেন চেপে লাঙ্গার্ন শহরে এসে নামলাম মধ্যাহ্নভোজের বিরতি হিসেবে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা; সবাই দুই পদের স্ন্যাকস নিয়ে যাই। সম্মিলিতভাবে পিকনিকের একটা আমেজ যেন বিরাজ করছিল। আমরা অনেকটা দূর ভেতরে চলে আসি। এখানে বলতেই হবে, যত গহিন জঙ্গলেই যাই না কেন, সবখানেই যেন পরিপাটি সাজানো-গোছানো ছিমছাম পরিবেশ। বসার জন্য একটা জায়গা পাবেন, ময়লা ফেলার বিন আছে। আর রাস্তাঘাট যেন আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে।