ট্যুরিস্ট ভিসার জট খুলছে, ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চালু সপ্তাহে চলবে ৫৬ ফ্লাইট
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের ভারত সফরে শিগগিরই ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বুধবার দুই দেশের মধ্যকার বিশেষ বিমান সেবা ‘এয়ার বাবল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানালেও তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ভিসাটি চালুর বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চলছে। হাইকমিশনার বিক্রম বলেন, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ভিসা ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। যাদের জরুরি ভিত্তিতে ভারত যাওয়া প্রয়োজন, তারা যেতে পারছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারত প্রায় সাত মাস ধরে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল ফ্লাইট যোগাযোগও বন্ধ। এ অবস্থায় রোগী এবং জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারীদের সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা ‘এয়ার বাবল’। ওই প্যাকেজের আওতায় এখন থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সপ্তাহে ৫৬টি ফ্লাইট পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা ২৮টি এবং ভারতীয় বিমানের ২৮টি ফ্লাইট চলবে। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে বুধবার সকালে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ ওই ফ্লাইট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আয়োজিত ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে ইউএস-বাংলা প্রথম বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চালু করেছে। ইউএস বাংলা জানায়, সোমবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিন ঢাকা থেকে তাদের ফ্লাইট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় ফিরতি ফ্লাইটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। এছাড়া প্রতি সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চেন্নাইর উদ্দেশে তাদের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। একইদিন দুপুর দেড়টায় চেন্নাই থেকে ফিরতি ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও রোববার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে চেন্নাই ও চেন্নাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায়ও ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা। একইভাবে ভারতের তরফে দেশটির একাধিক বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।