ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত জটিলতার মধ্যেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ, ব্রিটেনের মতো বড় একটি কল্যাণভিত্তিক রাষ্ট্রকেও জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। একইভাবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনের জেরে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। পরিস্থিতি ক্রমেই তার পদত্যাগ অনিবার্য করে তুলছে। হ্রাস পেয়েছে তার জনপ্রিয়তাও। ব্রিটেনের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা আঁচ করতে পেরে বরিস নিজেই এখন নিজের পদত্যাগের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করছেন।
এক ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সফলতম টোরি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বিদায় নিতে হয়েছে। তারপর ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া থেরেসা মে-কেও শেষ পর্যন্ত ক্যামেরনের পথেই হাঁটতে হয়। সামনে বরিস জনসন যদি পদত্যাগ করেন, তবে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে এটি হবে টানা তৃতীয় কোন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিদায়।