সংসারের অশান্তি থেকে বাঁচতেই স্ত্রীকে হত্যা

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:১২

.tdi_2_66c.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_66c.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});‘পারিবারিক কলহ আমার আর সহ্য হচ্ছিল না। সংসারের অশান্তি থেকে মুক্তির জন্য স্ত্রীকে হত্যা করেছি। অশান্তি থেকে বাঁচার পথ হিসেবে স্ত্রী হত্যাকে বেঁচে নিয়েছি। দা দিয়ে কুপিয়ে আমি রিনিকে হত্যা করেছি।’ সাতকানিয়ায় দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী আবদুর রহিম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব কথা বলেন। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা ফকির পাড়ার মৃত রমজু মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম তার স্ত্রী নুসরাত শারমিন রিনিকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে রহিম ৯৯৯ এ ফোন করে স্ত্রীকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশকে খবর দেয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে রেখে বাসায় তালাবদ্ধ করে সেখান থেকে চলে যায় রহিম। এদিকে, সাতকানিয়া থানা পুলিশ গুরুতর অবস্থায় নুসরাত শারমিন রিনিকে উদ্ধার করে প্রথমে কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই রিনি মারা যান। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই নাছিম উদ্দিন বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে আসামি চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। সাতকানিয়ার ঢেমশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর জানান, আসামি আবদুর রহিম তার স্ত্রী নুসরাত শারমিন রিনিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন। রহিম জানায়, নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। দাম্পত্য জীবনের অশান্তি থেকে মুক্তির জন্য স্ত্রীকে হত্যা করেছে। আসামি জানায়, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতো। দেশে লকডাউন ঘোষণার পর রোয়াংছড়ি থেকে চলে আসে এবং স্ত্রী-সন্তানকে তার শ্বশুরবাড়িতে রাখে। মাস খানেক আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে এসে উত্তর ঢেমশা এলাকায় জনৈক নাছির উদ্দিনের ভাড়া বাসায় উঠে। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের কারনে ঘটনার ১০-১২ দিন আগে স্ত্রী-সন্তানকে আবারো শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিন ফোন করে বলার পর স্ত্রী আবার বাসায় চলে আসে। ঘটনার দিন দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় আসার পর ভাত-তরকারি রান্না করেছে। তখন কোন ঝামেলা ছিল না। সন্ধ্যায় নুডুলস রান্না করছিল। এসময় পূর্বের বিষয়গুলো নিয়ে আবারো ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমি দা দিয়ে স্ত্রীকে মাথায়, কপালে, বাম চোখের নিচে ও গলায় কোপ দিই। স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার পর প্রথমে তার ভাইকে ফোন করেছিলাম। তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশকে জানানোর পর স্ত্রীকে বাসার ভেতরে রেখে বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে সন্তানদের আমার বোনের বাড়িতে রেখে আসি। ততক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের কাছে শুনেছি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্ত্রী মারা গেছে।.tdi_3_6e8.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_6e8.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us