করোনা মহামারির শুরু থেকেই দুনিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের অবদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক মুশতাক মাহমুদ ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য সে প্রশংসাবাক্যে কখনোই আহ্লাদিত হননি। চোখের সামনে রোগীর মৃত্যু তাঁকে এতই ব্যথিত করত যে স্বাস্থ্যসেবীদের দেওয়া ফ্রন্টলাইন হিরো বা সম্মুখসারির নায়ক তকমাও অর্থহীন শোনাত তাঁর কানে।
ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন আর শিশুরোগের চিকিৎসক মুশতাক মাহমুদ তাই যখন জানতে পারলেন তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয়েরই করোনার টিকার পরীক্ষার চালানো হবে, তখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিশেষ কিছু করতে চাইলেন তিনি। হাসপাতালের পরিচালককে ফোন করে মুশতাক জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক তাদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে স্বেচ্ছায় শরীরে নিতে চান পরীক্ষাধীন করোনা টিকা।